দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নারদ কেলঙ্কারি কাণ্ডে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। জেলে যাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়লেন শোভনচট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় । রাতে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে শোভন-মদনকে ভোররাতে প্রায় ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাঁরা এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও উডবার্ন ওয়ার্ডে আনা হয়। পরে অবশ্য তাঁকে ফের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, নারদ মামলায় সোমবার ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়,শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। বাড়ি থেকে তাঁদের তুলে নিয়ে নিজাম প্যালেসে আনে সিবিআই৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে নিজাম প্যালেসে অবস্থানে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৬ গণ্টা পর নিজাম প্যালেস ছাড়েন মমতা। এরপর নিম্ন আদালতে চারজনের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। কিন্তু, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। বুধবার পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলে থাকতে হবে তাঁদের।
সোমবার রাত ১টা ১০ নাগাদ তাঁদের নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত কান্না জড়ানো গলায় ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। আমাকে বাঁচাতে দিল না।’ একদিকে ফিরহাদের যখন চোখে জল, তখন কিছুটা ক্ষোভের সুর শোনা গেল মদন মিত্রের গলায়। ক্ষুব্ধ মদন বলেন,’আমরা খারাপ। শুভেন্দু-মুকুল ভালো।’
রাত ১টা ১০ নাগাদ ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেস থেকে বের করা হয়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমি পপুলার। পপুলার হওয়াটা অন্যায় নয়। আজ আমার জন্য হাজার হাজার মানুষ প্রার্থনা করছে। ক্ষুব্ধ ফিরহাদ আরও বলেন,’ আমি সিবিআই-এর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করিনি! কেন আমার জামিনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। এবার হয়তো ইডি দিয়ে গ্রেফতার করাবে। আমাকে করোনা মোকাবিলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে যাতে কারওর কোনও অসুবিধা না হয়, সকলে যাতে টিকা পায় আমার কাজ ছিল সব দিকে নজর রাখার।’ এরপরেই কার্যত আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ফিরহাদ। কান্না জড়ানো গলায় বলেন, ‘কলকাতার মানুষকে আমায় বাঁচাতে দিল না।’