দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজনীতিতে কোনও কিছুই সুনিশ্চিত করে বলা যায় না। তা সতত পরিবর্তনশীল। শেষ মুহূর্তে এসেও অঙ্কে অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে। তবে বিজেপির একটি সূত্র দাবি করছে যে, বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের দলে যোগ দিতে পারেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
শোভন-বৈশাখীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বাংলা বাজারে চর্চা নতুন নয়। সেই যবে শোভন মেয়র পদ ছেড়েছিলেন তখন থেকেই চলছে। বারবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে যে কখনও শোভন-বৈশাখী দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, কখনও মুকুল রায়ের সঙ্গে মিটিং করেছেন। রহস্য বলতে বাকি ছিল কবে তাঁরা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। বা আদৌ যোগ দিচ্ছেন কিনা। বিজেপির ওই সূত্রের দাবি যদি সঠিক হয়, তাহলে সেই রহস্যের সমাধান হতে পারে বুধবারই। এবং একধাপ এগিয়ে তাঁরা এও দাবি করছেন, বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুনে কলকাতায় ফিরবেন তাঁরা।
এই অশনি সংকেতটাই দেখছিল তৃণমূল। ইদানিং কালের রাজনীতিতে কোনও খবর বেশিদিন চেপে রাখা খুবই মুশকিল। কোনও না কোনও ভাবে তা ফাঁস হয়ে যায়। শোভনের বিজেপিতে যাওয়ার বিষয়টি যে পাকছে, সেটা হয়তো তৃণমূল আগাম আন্দাজ করেছিল। আর তাই গত ২৩ জুলাই রাতে শোভনের বাড়িতে গিয়েছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শোভনকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, তিনি যেন তাঁর পুরনো ঘরেই ফিরে আসেন। কিন্তু লুচি-আলুর দম খাইয়ে আতিথেয়তার ত্রুটি না রাখলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিরাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। উল্টে বৈশাখী এবং শোভন সাংবাদিক বৈঠক করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। মিলি আল আমিন কলেজের চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বৈশাখী। মঙ্গলবার বিধানসভার ফিশারি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন শোভন। সব মিলিয়ে প্রেক্ষাপট তৈরিই রয়েছে। এখন দেখার বুধবার যবনিকা পড়ে কি পড়ে না।