গুরুতর জখম লস্কর-ই-তৈবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও লস্কর প্রধান হাফিজ় সইদের ডান হাত আমির হামজ়া। সূত্রের খবর,আমির বর্তমানে লাহোরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যে কোনও সময় তার মৃত্যু হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তাকে গুলি করা হয়েছে। যদিও কোনও পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
উল্লেখ্য, লস্কর-ই-তৈবাকে আন্তর্জাতিক স্তরে ইতিমধ্যেই জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আমির হামজ়া একজন ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী। উল্লেখ্য, আগেই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের হামলায় লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার রজুল্লাহ নিজামনি ওরফে আবু সইফুল্লাহর মৃত্যু হয়।
লস্কর-ই-তৈবার ১৭ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের মধ্যে একজন হামজ়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তাকে গুলি করা হয়েছে। যদিও কোনও পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
আমির হামজা আফগান মুজাহিদিনের একজন সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে লস্কর-ই-তৈবার একজন প্রধান আদর্শবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত। আমির একসময় লস্করের প্রকাশনার সম্পাদক ছিল। আমির লস্কর-ই-তৈবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে কাজ করেছে এবং আটক জঙ্গিদের মুক্তির জন্য তহবিল সংগ্রহ, নিয়োগ এবং আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
২০১৮ সালে লস্কর-অনুমোদিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশনের উপর আর্থিক চাপ বাড়ানো হলে হামজ়া লস্কর থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয় বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তীতে আমির জম্মু ও কাশ্মীর-সহ অন্যান্য স্থানে জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য জইশ-ই-মানকাফা নামে একটি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করে। ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, এই গোষ্ঠী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অবাধে কাজ করছে এবং বর্তমানে হামজ়ার লস্কর-ই-তৈবার নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, পহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিকে নিশানা করে আক্রমণ চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে মুরিদকেতে লস্করের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া হয়। এই হামলায় একাধিক লস্কর জঙ্গি সংগঠনের সদস্যের মৃত্যুও নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।