দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার নবান্ন থেকে বড়সড় অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও দিয়ে দিলেন তিনি।
এদিন মমতা বলেন, “কেউ কেউ ফেক খবর ছড়াচ্ছে। বলছে, রাজ্য সরকার নাকি পুজো করতে দেবে না। আমি পুলিশকে বলব, এদের খুঁজে বের করুন। কিন্ত মারবেন না। ১০০ বার কান ধরে ওঠবস করান। আর যদি ওরা প্রমাণ করতে পারে সরকার এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাহলে আমি কান ধরে ওঠবস করব।”
পুজো এখনও দেড় মাসের মতো বাকি। কোভিড পরিস্থিতিতে এবার অধিকাংশ বড় পুজোর উদ্যোক্তারাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নিয়মরক্ষা করে ছেড়ে দেওয়া হবে। কী কী বিধি জারি করা যায় তা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের মধ্যেও আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করলেন একটা অংশ ভুয়ো খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।
তবে পুজোর ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী নিজে যে উৎসাহী তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। মাস দুয়েক আগেই বলেছিলেন, “ভাল করে পুজো করতে হবে তো নাকি! ক্লাবগুলো যেন সচেতনতা প্রচারে অংশ নেয়।”
রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিল ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ দিবস পালন করবে। কিন্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের কারণে ওই দিন জাতীয় শোক থাকায় এই অনুষ্ঠান করা যায়নি। মঙ্গলবার সেই পুলিশ দিবসের অনুষ্ঠান থেকেই একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পর্যবেক্ষকদের মতে, মেরুকরণের লক্ষ্যেই পুজো নিয়ে এই ধরনের কথাবার্তা রটানো হচ্ছে। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূলও এই ব্যাপারে সচেতন। ইদানিং টেলিভিশনের টক শো মানেই তৃণমূলের মুখপাত্ররা নিয়ম করে দক্ষিণেশ্বরের স্কাই ওয়াক, মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের উদাহরণ দিচ্ছেন।
কোভিড পরিস্থিতিতে পুলিশকর্মীরা যে ভাবে কাজ করছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন মমতা। তিনি বলেন, “ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে তো গুলি করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।”
যদিও এ নিয়ে পাল্টা বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হয়েছে। রাজ্য বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। উনিই বলছেন পুলিশ বিপন্ন। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার কী অবস্থা।” তিনি আরও বলেন, “হাওয়ায় এসব কথা বলে লাভ নেই। পারলে তদন্ত করে চক্রান্তকারীদের গ্রেফতার করুন মুখ্যমন্ত্রী।”