নীলাদ্রি ভৌমিক, কলকাতা: কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে আজ ইস্তফা দিতে চলেছেন পারিবারিক সঙ্কটে আক্রান্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় পুর কাউন্সিলদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস । যেখানে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার আগে বিধানসভায় ১৯৮০ সালের কলকাতা পুর আইনের বদল আনতে সংশোধনী আনা হচ্ছে। আগের আইনে নির্বাচিত কাউন্সিলর ছাড়া বাইরের কেউ মেয়র পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না। ফলে, কলকাতা পুর আইনের ৬ বি ধারার সঙ্গে নতুন ধারা ৬সি যুক্ত করা হবে। এর জন্য চলতি অধিবেশনেই বিল আনা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে পুর আইনের ৬৩৪ নম্বর ধারায় রাজ্য সরকার রিমুভাল অফ ডিফিকাল্টি ঘোষণা করে বাইরের কাউকে মেয়র পদে বসাতে পারে। সেক্ষেত্রে, এবার শোভনের পরিবর্তে রাজ্যের পুর ও নগরোয়ন্ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নতুন মেয়র পদে বসতে পারেন। একই সঙ্গে ডেপুটি মেয়র পদে অসুস্থ ইকবাল আহমেদের পরিবর্তে বর্তমান মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষের নাম নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব আলোচনা শুরু করেছে ৷ আবার, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকা দমকল বিভাগের নতুন মন্ত্রী বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুর নাম নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে আজ আইনি নোটিশ পাঠিয়ে তাঁকে পাঁচদিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে, আইনি ব্যবস্থার হুশিয়ারি দিয়েছেন, মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়।

বিধানসভায় ১৯৮০ সালের কলকাতা পুর আইনের বদল আনতে সংশোধনী আনা হচ্ছে। আগের আইনে নির্বাচিত কাউন্সিলর ছাড়া বাইরের কেউ মেয়র পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না। ফলে, কলকাতা পুর আইনের ৬ বি ধারার সঙ্গে নতুন ধারা ৬সি যুক্ত করা হবে। এর জন্য চলতি অধিবেশনেই বিল আনা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে পুর আইনের ৬৩৪ নম্বর ধারায় রাজ্য সরকার রিমুভাল অফ ডিফিকাল্টি ঘোষণা করে বাইরের কাউকে মেয়র পদে বসাতে পারে। সেক্ষেত্রে, এবার শোভনের পরিবর্তে রাজ্যের পুর ও নগরোয়ন্ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নতুন মেয়র পদে বসতে পারেন। একই সঙ্গে ডেপুটি মেয়র পদে অসুস্থ ইকবাল আহমেদের পরিবর্তে বর্তমান মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষের নাম নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব আলোচনা শুরু করেছে ৷ আবার, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকা দমকল বিভাগের নতুন মন্ত্রী বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুর নাম নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে আজ আইনি নোটিশ পাঠিয়ে তাঁকে পাঁচদিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে, আইনি ব্যবস্থার হুশিয়ারি দিয়েছেন, মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়।শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় কলকাতার মেয়রের পদে কাকে বেছে নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই পরিস্থিতিতে ‌আজ, বৃহস্পতিবার বিকালে তৃণমূলের জরুরি বৈঠকের (যেখানে থাকবেন মমতা নিজেও)‌ আগে এটাই রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে যেভাবে পুর আইন সংশোধনের জন্য বিল আনা হচ্ছে, তাতে দলের একাংশের বক্তব্য— বাইরে থেকেই (‌যিনি কাউন্সিলর নন)‌ কাউকে কলকাতার মেয়র করতে পারেন মমতা। যিনি প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর মতো ছ’মাসের মধ্যে কোনও ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়ে আসবেন। তৃণমূল সূত্রের দাবি, সেক্ষেত্রে বিবেচনায় আছে রাজ্যের চার মন্ত্রী এবং এক সাংসদের নাম। তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের একাংশের দাবি, তাঁদের মধ্যে দৌড়ে আপাতত এগিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কাউন্সিলর নন, এমন চার মন্ত্রীর নাম নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক নম্বরে আছেন ফিরহাদ। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ যথাক্রমে অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত মুখার্জি এবং শশী পাঁজা। তৃণমূলের বৃহদাংশের অনুমান বিশ্বাস করতে হলে এঁদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ফিরহাদ। এমনিতেই শোভনের ছেড়ে–যাওয়া দু’টি দপ্তর ফিরহাদকেই দেখতে দিয়েছেন মমতা। এরপরে কলকাতার মেয়র পদটিও তাঁকে দেওয়া হলে ফিরহাদের ক্ষেত্রে রাজনীতির একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। কারণ, জনশ্রুতি, অতীতে অভিজ্ঞ কাউন্সিলর ফিরহাদকে দৌড়ে হারিয়েই শোভন কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন। ফিরহাদ ঠান্ডামাথার রাজনীতিক। মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং জনসংযোগের ক্ষেত্রেও প্রথম সারিতে। তবে এমনিতেই তাঁর ওপর দল ও সরকারের প্রচুর দায়িত্ব। মেয়রের কাজের ভারও মমতা তাঁর ওপর দেন কি না, সেটা দেখার।

কাউন্সিলর নন, এমন চার মন্ত্রীর নাম নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক নম্বরে আছেন ফিরহাদ। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ যথাক্রমে অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত মুখার্জি এবং শশী পাঁজা। তৃণমূলের বৃহদাংশের অনুমান বিশ্বাস করতে হলে এঁদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ফিরহাদ। এমনিতেই শোভনের ছেড়ে–যাওয়া দু’টি দপ্তর ফিরহাদকেই দেখতে দিয়েছেন মমতা। এরপরে কলকাতার মেয়র পদটিও তাঁকে দেওয়া হলে ফিরহাদের ক্ষেত্রে রাজনীতির একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। কারণ, জনশ্রুতি, অতীতে অভিজ্ঞ কাউন্সিলর ফিরহাদকে দৌড়ে হারিয়েই শোভন কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন। ফিরহাদ ঠান্ডামাথার রাজনীতিক। মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং জনসংযোগের ক্ষেত্রেও প্রথম সারিতে। তবে এমনিতেই তাঁর ওপর দল ও সরকারের প্রচুর দায়িত্ব। মেয়রের কাজের ভারও মমতা তাঁর ওপর দেন কি না, সেটা দেখার।

কাউন্সিলর হিসেবে অবশ্য অরূপ এবং শশীরও অভিজ্ঞতা আছে। শোভনের ইস্তফা–পরবর্তী পরিস্থিতির সাপেক্ষে বুধবার পর্যন্ত ‌(‌যদিও বুধবার শোভন মেয়র পদে ইস্তফা দেননি। যে–কারণে এমন একটি সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে যে, শোভনকে ‘চাপে’ রেখে তাঁকেই মেয়র পদে রেখে দেওয়া হবে। তবে তেমন কোনও সিদ্ধান্ত হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন মমতাই)‌ যে নামগুলি ‘সম্ভাব্য’ হিসেবে ঘোরাফেরা করছে, সেই তালিকায় পাঁচজন বর্তমান কাউন্সিলর আছেন। তাঁরা হলেন দেবাশিস কুমার, মালা রায়, অতীন ঘোষ এবং মলয় মজুমদার। পঞ্চম নাম হিসেবে ক্ষীণভাবে উঠে আসছে বৈশ্বানর চ্যাটার্জির নামও ২০১১ সালের ভোটে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হারানো মণীশকে বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী করেছিলেন মমতা। ২০১৬ সালে হেরে না গেলে তিনি যে আবার মন্ত্রী হতেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বস্তুত, শোভনকে দ্বিতীয়বার মেয়র করা নিয়ে দলের একাংশ যখন খানিকটা আপত্তি তুলেছিল, তখনই মণীশের নাম বিবেচনায় এসেছিল। শেষপর্যন্ত দলের কোনও কোনও অংশের আপত্তি অগ্রাহ্য করে মমতা ‘কানন’–এর ওপরেই ভরসা রেখেছিলেন। কিন্তু ভাল কাজের পুরস্কারস্বরূপ তিনি মণীশকে রাজ্যসভায় পাঠান। শোভনের ইস্তফা–পরবর্তী পরিস্থিতির সাপেক্ষে বুধবার পর্যন্ত ‌(‌যদিও বুধবার শোভন মেয়র পদে ইস্তফা দেননি। যে–কারণে এমন একটি সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে যে, শোভনকে ‘চাপে’ রেখে তাঁকেই মেয়র পদে রেখে দেওয়া হবে। তবে তেমন কোনও সিদ্ধান্ত হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন মমতাই)‌ যে নামগুলি ‘সম্ভাব্য’ হিসেবে ঘোরাফেরা করছে, সেই তালিকায় পাঁচজন বর্তমান কাউন্সিলর আছেন। তাঁরা হলেন দেবাশিস কুমার, মালা রায়, অতীন ঘোষ এবং মলয় মজুমদার। পঞ্চম নাম হিসেবে ক্ষীণভাবে উঠে আসছে বৈশ্বানর চ্যাটার্জির নামও ২০১১ সালের ভোটে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হারানো মণীশকে বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী করেছিলেন মমতা। ২০১৬ সালে হেরে না গেলে তিনি যে আবার মন্ত্রী হতেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বস্তুত, শোভনকে দ্বিতীয়বার মেয়র করা নিয়ে দলের একাংশ যখন খানিকটা আপত্তি তুলেছিল, তখনই মণীশের নাম বিবেচনায় এসেছিল। শেষপর্যন্ত দলের কোনও কোনও অংশের আপত্তি অগ্রাহ্য করে মমতা ‘কানন’–এর ওপরেই ভরসা রেখেছিলেন। কিন্তু ভাল কাজের পুরস্কারস্বরূপ তিনি মণীশকে রাজ্যসভায় পাঠান। এখন প্রশ্ন হল, কাউন্সিলর নন, এমন কাউকে মেয়র করা হলে তাঁকে কোন ওয়ার্ড থেকে জিতিয়ে আনা হবে। ঘটনাচক্রে, অনতিবিলম্বে ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন রয়েছে। অ–কাউন্সিলর কাউকে সেখান থেকে জিতিয়ে আনা হতে পারে। কিন্তু সেই আসনটি আবার কলকাতা পুরসভার এক মেয়র পারিষদের পুত্রের জন্য ঠিক করা আছে। যদিও দলনেত্রী বললে তিনি সানন্দে সরে দাঁড়াবেন। ১১৭ নম্বর ওয়ার্ড না হলে অন্য কাউকেও তাঁর আসন ছেড়ে দিতে বলা হতে পারে। তারপর সেই ওয়ার্ড থেকে মেয়রকে দাঁড় করিয়ে জিতিয়ে আনা হতে পারে। সঙ্গত, পুর আইন অনুযায়ী মেয়র পদত্যাগ করলে সব মেয়র পারিষদকেও পদত্যাগ করতে হবে। নতুন মেয়রের নেতৃত্বে আবার তাঁদের শপথ নিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটিই যথাসম্ভব দ্রুত শেষ করতে চাইছেন মমতা। আজ, বৃহস্পতিবারই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, পুর আইন অনুযায়ী মেয়র পদত্যাগ করলে সব মেয়র পারিষদকেও পদত্যাগ করতে হবে। নতুন মেয়রের নেতৃত্বে আবার তাঁদের শপথ নিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটিই যথাসম্ভব দ্রুত শেষ করতে চাইছেন মমতা। আজ, বৃহস্পতিবারই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here