মাদক-কাণ্ডে আরিয়ান সহ ধৃত তিন জনকে এনসিবি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত

0
406

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান সহ মাদক কাণ্ডে ধৃত তিন জনকে এনসিবি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। গতকাল গ্রেফতারির পরে টানা ১৬ ঘণ্টা জেরার পরে আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। তার পরে আজ সন্ধেবেলায় আদালতে তোলা হয় তাকে। আরিয়ানের সঙ্গে দুই অভিযুক্ত আরবাজ শেঠ এবং মুনমুন ধামেচাও এনসিবি হেফাজতে থাকবে একদিন।

এদিন অভিযুক্তদের আদালতে তোলার পরে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল এনসিবি-র তরফে। তবে আপাতত একদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত। অর্থাৎ আজকের রাতটা আদালতে থাকতেই হবে অরিয়ান খান, আরবাজ শেঠ এবং মুনমুন ধামেচাকে।

ইতিমধ্যেই আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে এনসিবি দফতরে পৌঁছেছেন। তিনি জামিনের আবেদন ফাইল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেই জানা গেছে। যদিও এই বিষয়ে এনসিবি এখনও কিছু জানায়নি। তবে অনেকেই মনে করছেন, আরিয়ানের বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, তা অ-জামিনযোগ্য নয়।

এদিন আদালতে গিয়েছিলেন আরিয়ানের মা গৌরী খান। শাহরুখ খানকে আদালতে দেখা না গেলেও, তাঁর বডিগার্ডকে দেখা গিয়েছে আদালত চত্বরে। পরিবারের কারও তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

মুম্বই থেকে গোয়া যাওয়ার ‘কর্ডেলিয়া’ নামের এক প্রমোদতরী থেকে শনিবার রাতে আটক করা হয় আরিয়ানকে। আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় আরিয়ানকে। সূত্রের খবর, দীর্ঘ জেরার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ভেঙে পড়েন বাদশা-পুত্র। তিনি স্বীকার করে নেন তিনি মাদক নিয়েছেন। অনুশোচনাও করেন এ জন্য। দাবি করেন, এই প্রথম এর আগে এসব কিছু করেননি তিনি।

আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখছেন এনসিবি-র কর্তারা। কেন মাদক নিলেন তিনি, বন্ধুবৃত্তের পাল্লায় পড়ে এমনটা করেছেন কিনা, এর সঙ্গে আর কে কে যুক্ত আছে, সেসবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এনসিবি সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই তাঁদের কাছে খবর আসে মুম্বই থেকে গোয়া যাওয়ার ক্রুজে রেভ পার্টি হবে। এর পরেই ছক সাজান তদন্তকারীরা। পার্টির দিন সাধারণ এক যাত্রী সেজে সেখানে পৌঁছে যান এনসিবি-র অফিসাররা। পার্টিতে অনেককেই আকছার মাদক সেবন করতে দেখা যায়। প্যান্টের সেলাইয়ে, মহিলাদের ব্যাগের হ্যান্ডেলে, অন্তর্বাসের ভিতরে, জামার কলারের সেলাইয়ের মধ্যে মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে দেখেন তাঁরা। শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান মাদক লুকিয়ে রেখেছিলেন তাঁর চোখের লেন্সের বাক্সে।

খ্যাতির শীর্ষে থাকা অভিনেতার পুত্রের এমন কীর্তিতে সারা দেশ তথা গোটা দুনিয়ার নজর মুম্বইয়ের দিকেই। এরই মধ্যে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো অর্থাৎ এনসিবি-র মুখ্য আধিকারিক এসএন প্রধান বলেন, “কে কোন শিল্পপতির ছেলে নাকি তারকার ছেলে, সেটা খুঁজে বের করাটা এনসিবি-র কাজ নয়। আমাদের কাজ হল, প্রতিটা অপরাধীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা এবং সেটা সকলের জন্যই একইরকম ভাবে করা। আমরা ভবিষ্যতেও এটাই করব। এই মাদকচক্রে যেই জড়িয়ে থাকুক না কেন, জানা গেলে তার কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড বিচার না করেই শাস্তি হবে।”

Previous articleভবানীপুরে আটে-আট তৃণমূল, একটা ওয়ার্ডেও হারিনি জিতে বললেন মমতা: জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জের উপনির্বাচনেও জয় তৃণমূলের
Next articleFinancial Horoscope: কেমন থাকবে আপনার আর্থিক স্থিতি, জানুন আজকের আর্থিক রাশিফল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here