দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ৬টি জেলা, ৫০ হাজার একর জমি, আড়াই লক্ষ মানুষ। এই পুরোটাকে ঘিরে নতুন এক ‘বৈপ্লবিক কর্মসূচি’ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার বিকেলে নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, নতুন এই প্রকল্পের নাম “মাটির সৃষ্টি৷”বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান– এই ছ’টি জেলায় হর্টিকালচার, পশুপালন, মাছ চাষ প্রভৃতির মাধ্যমে রূপায়ন হবে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের।
তিনি জানান, স্থানীয় মানুষদের ১০/২০ একর পতিত জমি ও সরকারি খাস জমিকে একসঙ্গে দেওয়া হবে কো-অপারেটিভ হিসেবে। যুক্ত থাকবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। সাড়ে ছ’হাজার একর পতিত জমির জন্য মাইক্রো প্ল্যান ইতিমধ্যেই করা হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। জল সম্পদ দফতরের আওতায় এই প্রকল্পটি হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুরন্ত বৈপ্লবিক কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ৫০ হাজার একর জমিতে নতুন প্রকল্প হবে। আড়াই লক্ষের বেশি মানুষ এতে উপকৃত হবেন। পরিবেশবান্ধব এই প্রোজেক্টের নাম মাটির সৃষ্টি।পশ্চিমাঞ্চলের ছ’টি জেলার জমি রুক্ষ। ফলে চাষ করার জন্য উপযোগী নয়। সেখানেই সমবায়ের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করা হবে। এই প্রকল্পের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত হবে।”
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করেন, এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোনও ঠিকাদার সংস্থা নিয়োগ হবে না। স্থানীয় মানুষদের নিয়েই কাজ করা হবে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, গ্রাম বাংলার গরিব মানুষকে আর্থিক সঞ্জীবনী দিতে পারে এই প্রকল্প।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, লকডাউন উঠলেই বাংলার প্রতি জেলায় সার্ভে শুরু হবে। আর সেই সার্ভে হবে মহামারী কেন্দ্রিক। ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে বাংলায় শুরু হবে এই সার্ভে। পরবর্তী কালেও এই সমীক্ষা কাজে লাগবে।