দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কোভিডের ভয় কমে গিয়েছে। মুখের মাস্ক থুতনি থেকে নেমে এখন অনেকেরই পকেটে। দরকার হলে বের করেন। ওদিকে আবার ভোট আসছে। সেই আবহে বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, দুঃস্থ মানুষ যাতে দুবেলা খেতে পায়, সেজন্য ‘মা’ নামে একটি অভিন্ন রান্নাঘর খোলা হবে। স্বল্পমূল্যে সেখানে খাবার পাওয়া যাবে।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/02/NSJ-AD01-1024x853.jpg)
অন্যদিকে দশ বছর ধরে একটা দল ক্ষমতায় নেই। লকডাউনের সময়ে শাসক দলের এক শ্রেণির নেতার বিরুদ্ধে যখন রেশন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তখন বাংলায় সিপিএমের কিছু উদ্যমী কর্মী দেখিয়ে দিয়েছিলেন, এখনও সর্বহারাদের পাশেই রয়েছে দল। পাড়ায় পাড়ায় গড়ে উঠেছিল শ্রমজীবী ক্যান্টিন, কোথাও জনতার রান্নাঘর। দুপুরের খাবার বিশ টাকায়, রাতেরও তাই।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/02/RAJASTHAN-ADDS.jpg)
নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী সোমবার নবান্ন থেকে সেই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। একটি সূত্রের দাবি, মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে সেখানে খাবার পাওয়া যাবে।প্রথমে ১৬টি বোরোয় একটি করে কিচেন শুরু হবে তারপর তা ধাপে ধাপে ১৪৪টি ওয়ার্ডে শুরু করা হবে বলে খবর।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/02/one-med-add01-1024x853.jpg)
সর্বভারতীয় স্তরে এই ধরনের ক্যান্টিন শুরুর হোতা ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। আট বছর আগেই তামিলনাড়ুতে শুরু হয়েছিল ‘আম্মা উনাভাগাম’ তথা আম্মা ক্যান্টিন। সেখানে ১ টাকায় পাওয়া যায় একটা ইডলি। ৫ টাকায় সম্বর রাইস বা কারি রাইস, আর ৩ টাকায় কার্ড রাইস তথা দই ভাত।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/02/carbazar-ad-1024x853.jpg)
তামিলনাড়ুর সেই মডেল শুধু জনপ্রিয় নয়, তার তারিফ হয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। পরে সেই মডেল অনুসরণ করেছে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক। ওড়িশায় সেই প্রকল্পের নাম ‘আহার যোজনা’। ৫ টাকায় সেখানে খাবার খেতে পারেন দুঃস্থরা। আর বেঙ্গালুরুতে এই প্রকল্পের নাম হল ইন্দিরা ক্যান্টিন।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/02/arka-music-house-add-1024x427.jpg)
বাংলায় এই প্রকল্প শুরু করার ব্যাপারে অনেক দিন ধরে আলোচনা চলছিল বলে খবর। কিন্তু রাজ্যের যা অর্থ সংকট তাতে এ হেন প্রকল্প চালানোর ভার বহণ করাই হয়তো মুশকিল ছিল। সিপিএমের এক রাজ্য নেতার কথায়, এখন ভোট বাজারে প্রকল্প শুরু করছে। এটা ভোটের গিমিক। আর মাত্র দশ দিন ক্ষমতায় থাকবে এই সরকার। ভোট ঘোষণা হতেই হয়ে যাবে কেয়ারটেকার। তাঁর কথায়, বাজেটেই দেখলাম এই প্রকল্পের জন্য ১০০ কোটি বরাদ্দ করার প্রস্তাব হয়েছে। অথচ গত তিন বছরে ক্লাবগুলোকে খয়রাতি করেছে ২৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন বছর আগেই এই প্রকল্প শুরু করতে পারত সরকার। লকডাউনে কাজ হারানো লোকগুলো খেতে পেত। মানুষ সব হিসাবে রাখছে।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/02/niva-add02-1024x427.jpg)