‘মমতাজি ভাইপোর জন্মদিনে বাধাই হিসেবেই না হয় দিয়ে দিন’কৃষক প্রকল্প প্রসঙ্গে বোলপুরে অমিত শাহ বললেন

0
1372

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান যোজনা খাতে চাষিদের বছরে ৬ হাজার টাকা করে দেয় সরকার। বাংলায় সেই যোজনা বাস্তবায়িত করেনি নবান্ন। এ ব্যাপারে এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রশ্ন তুলেছেন। ক’দিন আগে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এসেও খোঁচা দিয়েছেন। রবিবার ফের সেই প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহ বলেন, “দেশের ১০ কোটি কৃষক বছরে ৬ হাজার টাকা করে পেয়েছেন, বাংলায় কৃষকরা পাচ্ছেন না। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের তালিকা দিচ্ছেন না।” কেন দিচ্ছেন না? অমিত শাহর কথায়, “কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন তা হলে কেন্দ্রের সরকার ক্রেডিট পেয়ে যাবে। আর স্রেফ এই রাজনৈতিক ভাবনা জন্যই বাংলার চাষিরা বঞ্চিত হচ্ছেন।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এদিন জানান, “ওই প্রকল্পের জন্য বাংলার ২৩ লক্ষ কৃষক অনলাইনে আবেদন করেছেন। তাঁদের সার্টিফিকেশনও করছে না রাজ্যের সরকার।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তির্যক মন্তব্য করে অমিত শাহ বলেন, “শুধু একটা চিঠি দিলেই হবে। স্রেফ একটা তো সই করতে হবে। না হয় অটোগ্রাফ ভেবে দিয়ে দিন। কিংবা ভাইপোর জন্মদিনে বাধাই হিসেবে দিয়ে দিন।”

তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বাংলার চাষিদের রাজ্য সরকারই টাকা দিচ্ছে। তা ছাড়া কৃষক সম্মান প্রকল্পের ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কিছুদিন আগে চিঠি লিখেছেন। তাতে তিনি বলেছেন, কেন্দ্র ওই প্রকল্প খাতে রাজ্য সরকারকে টাকা দিক। রাজ্য সরকার চাষিদের বণ্টন করে দেবে।
কিন্তু তার জবাবে বিজেপি সভাপতি নাড্ডা মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “মমতাজি বলছেন, কৃষকদের নয়, আমাকে টাকা দাও, আমাকে। তার মানে কী! কাটমানি কাটমানি কাটমানি!”

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অনগ্রসরতার খতিয়ান তুলে ধরেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বোঝাতে চান, প্রতি ব্যক্তি আয়, শিক্ষা পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, সেচ ব্যবস্থা– সবেতেই পিছিয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সেই সঙ্গে বলেন, বাংলায় উন্নয়নের পরিবেশ নেই। তোলাবাজি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পরিবেশে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয় না। বিজেপি বাংলায় তাই একটা সুযোগ চাইছে। বামেরা সুযোগ পেয়েছে ত্রিশ বছর শাসন করার, তৃণমূল এক দশক সুযোগ পেয়েছে, বিজেপিকেও একবার সুযোগ দেওয়া হোক। পরিবেশ তথা প্রশাসনিক ইকো সিস্টেম ঠিক হলে বাংলায় এমনিতেই কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হবে।

Previous articleনির্লজ্জভাবে কেন্দ্র নাক গলাচ্ছে, ‘বাংলার পাশে থাকার জন্য’দিল্লি, রাজস্থান, পাঞ্জাব,ছত্তীসগড়ের মূখ্যমন্ত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা মমতার
Next articleভূমিপুত্রই হবেন মুখ্যমন্ত্রী: ‘বহিরাগত’ আক্রমণের পালটা জবাব অমিত শাহের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here