দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যমগ্রামে নেতাজি নগর এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ উঠেছে। কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতাসহ দু’জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধেবেলা মধ্যমগ্রাম পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলা বাজারে তৃণমূল কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ও বোমাবাজি করে তিন দুষ্কৃতী। তারপরেই বাইকে করে পালায় তারা। তখন কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন মধ্যমগ্রাম টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ সিং ( রিঙ্কু )। তাঁর মাথা ঘেঁষে গুলি চলে গেলেও বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। আহত হয়েছেন দীপক বসু নামের আর এক তৃণমূল নেতা।
ঘটনার পরেই আহত দু’জনকে যশোর রোড সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পরেই বিশাল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে এসে পৌঁছয় মধ্যমগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
সূত্রের খবর, স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, রাখাল নন্দী নামের এক দুষ্কৃতীর নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে সে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুকুমার মণ্ডল জানান, “সন্ধেবেলা মধ্যমগ্রাম টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ সিং কার্যালয়ে বসেছিলেন। সেই সময় তিনজন দুষ্কৃতী বাইকে করে আসে।
একজন একটু বয়স্ক গাড়িতে করে এসেছিলেন। ওরা এসেই এলোপাথাড়ি বোম মারে। ভয় পেয়ে ছেলেরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তারপর বিনোদকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি তাঁর মাথার পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেলেও বোমার স্প্লিন্টারে আহত হয়েছেন তিনি।
আরও এক নেতা আহত হয়েছে। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যে ধরণের অরাজকতা বাংলা জুড়ে হচ্ছে তার ধিক্কার জানাই। এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত। যারা এই দুঃসাহসিক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের অবিলম্বে শাস্তি চাই।”
যদিও এই দুষ্কৃতী হামলার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দল যুক্ত কিনা, সে ব্যাপারে কোনও অভিযোগ করেনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এলাকায় এখনও ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।