দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: লকডাউনের ফলে টানা এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাজ্যের সব মিষ্টির দোকান খোলার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। এখন থেকে প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে খোলা থাকবে সব মিষ্টির দোকান।
সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় ক্রেতা সমাগম নিয়ে কিছুটা চিন্তা হলেও দোকান খোলার অনুমতি পেয়ে খুশি রাজ্যের মিষ্টি ব্যবসায়ী এবং দুধ সরবরাহকারীরা। কলকাতার নামী একটা মিষ্টির দোকানের মালিক যেমন বললেন, ‘ এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।
ছবি তুলেছেন কুন্তল চক্রবর্তী।
তবে জানি না ভবিষ্যতে কী আছে। আমাদের ১০টা দোকান আছে, কিন্তু আমরা মোটে তিনটে খুলতে পেরেছি কারণ বেশিরভাগ কর্মীই তাঁদের বাড়ি চলে গিয়েছেন। আমরা ১৫০ রকমের মিষ্টি বানাই সাধারণত, কিন্তু এখন কর্মীর অভাবে মাত্র ১০ রকমেরই বানাতে পারব।’ তাঁদের আশঙ্কা, লকডাউনের পর যদি আরও গরু জোগাড় করা না যায় তাহলে বাংলার মিষ্টি ব্যবসা ধসে যাবে। তবে আপাতত সামাজিক দূরত্ব মেনে এবং সরকার নির্দেশিত পরিচ্ছন্নতা মেনেই দোকান খোলা হয়েছে, জানালেন তিনি।
আর মিষ্টিপ্রিয় বাঙালি ফের পাতে মিষ্টি পাওয়ার আশা দেখতে পেয়েই উচ্ছ্বসিত।
লকডাউনের কারণে মিষ্টির দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রচুর দুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। যার ফলে মাথায় হাত পড়েছিল রাজ্যের খাটালগুলোর মালিক এবং গোয়ালাদের। যদিও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে দুধ সরবরাহ জারি ছিল, কিন্তু তাতে সমস্যা মিটছিল না। কারণ প্রতিদিন খাটালগুলোয় যে পরিমাণ দুধ গরু–মহিষদের থেকে পাওয়া যায়, সেই দুধ অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছিল।
ওই অতিরিক্ত দুধ মিষ্টির দোকানগুলোতেই সরবরাহ হত। এবং দুধ না দোয়ানোর ফলে গরু–মহিষ অসুস্থ হয়ে পড়ছিল বলেও অভিযোগ করছিলেন খাটাল মালিক এবং গোয়ালারা। এমনকি এক খাটাল মালিকের একটি গরু মারাও পড়েছে এর মধ্যে। এরপরই মিষ্টি ব্যবসায়ী, খাটাল মালিক এবং গোয়ালারা রাজ্য সরকারের কাছে তাঁরা মিষ্টির দোকান খোলার দাবি করেছিলেন।