দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলায় বারবার ভারতের তরুণ প্রজন্মের উপরে ভরসার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরও একবার সেই কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। করোনা মোকাবিলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ লিঙ্কডইনের (LinkedIn ) মাধ্যমে নিজের বক্তব্য রাখছিলেন মোদী। সেখানেই তিনি বলেন, এক উন্নত ও স্বাস্থ্যবান ভারতের দিকে আমাদের নিয়ে যেতে পারে দেশের তরুণ প্রজন্মই।
পরে সেই কথা টুইট করেও জানান মোদী। টুইটে তিনি লেখেন, “যখন গোটা বিশ্ব কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন ভারতের উদ্যমী ও বুদ্ধিমান তরুণ প্রজন্মই এক স্বাস্থ্যবান ও উন্নত ভবিষ্যতের পথ দেখাতে পারে। আমার কিছু চিন্তাভাবনা তুলে ধরলাম, যা তরুণ ও পেশাদারদের পছন্দ হতে পারে।”
As the world battles COVID-19, India’s energetic and innovative youth can show the way in ensuring healthier and prosperous future.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 19, 2020
Shared a few thoughts on @LinkedIn, which would interest youngsters and professionals. https://t.co/ZjjVSbMJ6b
লিঙ্কডইনে মোদী বলেন, “দেশের তৃতীয় দশক শুরু করার মুহূর্তেই এই ঘটনা ঘটল। কোভিড ১৯ অনেক রকমের সমস্যা তৈরি করেছে। পেশাদার জীবনের মানেটাই বদলে দিয়েছে করোনাভাইরাস। এই সময় বাড়িই হয়ে উঠেছে অফিস। ইন্টারনেট হচ্ছে বৈঠকের ঘর। এখন অফিসের কর্মীদের সঙ্গে বিরতি নেওয়া অতীত। মন্ত্রীই হোক, বা আধিকারিক, বা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধান সব বৈঠক এখন ভিডিও কনফারেন্সেই হচ্ছে।”
এই কঠিন পরিস্থিতিতেও মানুষ যে নিজের কাজ থামাননি তার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “একটা জিনিস দেখে ভাল লাগছে যে মানুষ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এই সময় ঘরে থাকার বার্তা দিয়ে কিছু ভিডিও বানিয়েছেন। আমাদের গায়ক-গায়িকারা অনলাইনে কনসার্ট করছেন। দাবাড়ুরা ডিজিটালি দাবা খেলছেন। সবই উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দেয়।”
সবার আগে মানুষের কাজের জায়গা ডিজিটাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোদী। তিনি বলেন, “কাজের জায়গা সবার আগে ডিজিটাল হয়েছে। কেন হবে না? এই কাজের মাধ্যমেই তো দেশের গরিব মানুষের উন্নয়ন করা যায়। টেকনোলজিই তো আমলাতন্ত্র, মিডলম্যানের সমস্যা মিটিয়ে দেশের অগ্রগতিতে সাহায্য করে।”
এদিন নিজের বার্তায় মোদী আরও বলেন, “কোভিড ১৯ সংক্রমণের আগে জাতি, ধর্ম, শ্রেণি, রং, ভাষা কিংবা সীমানা দেখে না। তাই এই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ দেখাতে হবে। আমরা এই লড়াইয়ে একসঙ্গে রয়েছি।”