দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সিরিয়ার ইদলিবে অন্ধকার সর্পিল সুড়ঙ্গে আবু বকর আল-বাগদাদির পিছু ধাওয়া করেছিল। বাগদাদি ও তার জঙ্গি বাহিনীকে খুঁজে বার করতে আগাগোড়া মার্কিন ডেল্টা ফোর্সের সেনাদের সাহায্য করেছিল এই জাঁদরেল সেনা-কুকুর। ওসামা বিন লাদেনকে তার গোপন আস্তানায় খুঁজে বার করতেও মার্কিন নেভি সিলের অন্যতম ভরসা ছিল এই প্রজাতির কুকুরই– বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস। আক্রমণাত্মক এই কুকুরই এবার জায়গা পেতে চলেছে কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডে।
অপরাধীদের খুঁজে বার করা, সন্ত্রাস দমনে কলকাতা পুলিশের বড় ভরসা হবে বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস প্রজাতির এই কুকুর। মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনী তো বটেই, বিশ্বের আরও নানা জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীতে বেলজিয়ান ম্যালিনয়েসের চাহিদা বিপুল। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, গোয়েন্দাদের সাহায্য করতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এই কুকুরদের। মূলত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রোখা এবং নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হবে ওই বেলজিয়ান ম্যালিনয়েসদের।
হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে স্পেশাল ট্রেনিং দেওয়া বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস। পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ম্যালিনয়েসদের উচ্চতা ২৪-২৬ ইঞ্চি। ওজনে প্রায় ৩৬ কিলোগ্রাম। দক্ষ শিকারি, যে কোনও বিপদসঙ্কুল কাজের ট্রেনিং দেওয়া যায় বেলজিয়ান ম্যালিনয়েসদের। মার্কিন নেভি সিল, ইজরায়েল অকেটজ বাহিনীতে রয়েছে এই কুকুর। ভারতের সিআরপিএফ, আইটিবিপি ও এনএসজি-র মতো বাহিনী স্পেশাল ট্রেনিং দেয় এই প্রজাতির কুকুরদের। বিস্ফোরক খুঁজে বার করা, দুর্গম জায়গায় জঙ্গিদের খোঁজ দেওয়া এমনকি উদ্ধারকাজের জন্যও কাজে লাগানো হয় বেলজিয়ান ম্যালিনয়েসদের।
বাগদাদি নিধন অভিযানে মার্কিন বাহিনীর প্রথম পছন্দই ছিল এই প্রজাতির কুকুর। জঙ্গিদের গুলির সামনেও তার বেপরোয়া, আক্রমণাত্মক ভঙ্গি দেখে আর্তনাদ করে উঠেছিল বাগদাদিও। ২০১১ সালে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে নিকেশ করার সময় এমনই এক বেলজিয়ান ম্যালিনয়েসকে কাজে লাগিয়েছিল মার্কিন নেভি সিল। সেই কুকুরের নাম ছিল কায়রো।
কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডে ৩৫ রকম প্রজাতির কুকুর রয়েছে। যাদের মধ্যে ল্যাব্রাডর, জার্মান শেফার্ড, ডোবারম্যান, গোল্ডেন রিট্রিভার-সহ আরও অনেক প্রজাতি রয়েছে। এই তালিকায় বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস যুক্ত হলেই ষোলোকলা পূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গিদমন অভিযানে এবং অপরাধীদের নাগাল পেতে পুলিশের বড় হাতিয়ার হয়ে উঠবে বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস।