দেশের সময়,ওয়েবডেস্ক. বিজেপির রথযাত্রার প্রস্ততিতে দলের নেতা থেকে কর্মীরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে স্বয়ং উপস্থিত থাকবেন, দলের প্রধান মুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদারদাস মোদী। অন্য দিকে ,বীরভূম জেলার তারাপীঠ থেকে রথযাত্রার চূড়ান্ত প্রস্ততি ও রূপরেখা তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানান, জেলা নেতা রামকৃষ্ণ রায়। এমতাবস্থায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও রথযাত্রার পাল্টা নগর সংকীর্তন বের করতে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডনের নেতৃত্বে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কিত চরিত্র অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মন্ডল অতীতে গুড় বাতাসা বিলি থেকে পাচন দাওয়াই এর পর এবার নতুন চমক খোল-করতাল সহযোগে নগর সংকীর্তন। এই কর্মসূচির জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে কেনা হয়েছে চার হাজার খোল ও আট হাজার করতাল। . গঠন করা হয়েছে আট জন করে এক একটি দল। প্রত্যেক দলকে একটি খোল ও দু’টি করে করতাল দেওয়া হবে বলে বুধবার জানান, জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, বিজেপির মৃত্যুর রথযাত্রা। তাই, শবদেহর সঙ্গে খোল- করতাল সহ যাত্রা হয়। আমরা অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরব। যাকে পবিত্র যাত্রা হিসাবে মানুষ বাংলার ঐতিহ্যকে উপলব্ধি করতে পারবেন৷ যদিও, বিজেপি সহ বিরোধীদের কটাক্ষ, দেড়-দু’ কোটি টাকা খরচ করে এটা তৃণমূলের আরেক নতুন নাটক। এই টাকায় উন্নয়ন করা যেত। তাছাড়া এই টাকা কোথা থেকে আসল? রাজনৈতিক এই চাপান-উতোরের মধ্যেই বীরভূমবাসী উদগ্রীব খোল-করতাল সহ নগর কীর্তন দেখার অপেক্ষায়। আজ, বুধবার দুপুরে এই খোল-করতাল কীর্ত্তনীয়াদের হাতে তুলে দেবেন অনুব্রত মন্ডল। তারপর তাঁদের আহারের পর বিভিন্ন দল বিজেপির মৃত্যুঘন্টা বাজিয়ে পথে নামবেন নগর সংকীর্তনে