দেবাশিষ মন্ডল,দেশের সময়:

দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তীর নফরগঞ্জ বৈজ্ঞানিক বিদ্যাপীঠে পালিত হল বিশ্ব মৎস্য দিবস।শস্যশ্যামলা কৃষিবিজ্ঞন কেন্দ্র, রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশন ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এইদিন ড: স্বাগত ঘোষ বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ (মৎস্যচাষ) জানান যে, নফরগঞ্জ ও গরানবোস এই দুটি অঞ্চল তার ‘আমার গ্রাম আমার গৌরব’ ও ‘ চাষীদের দ্বিগুণ আয় লাভের’ এই দুটি প্রকল্পের মূল প্রদর্শণ ক্ষেত্র।

সমস্ত জেলার চাষীদের প্রতিনিধি দল আসেন।এলাকার প্রায় ১৫০ জন চাষী ভাইদের সমাগম ঘটে।মহিলা চাষীদেরও হাজির ছিল অনেক।

মাছ চাষের উপর বসে আঁকো প্রতিযোগীতা , আবৃত্তি, গান, নাচ ও নাটক পরিবেশিত হয়।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী তপন মাইতি ও সংকর মন্ডল মহাশয়।বিজয়ীদের পুরস্কৃতিও করা হয়।

মাছ চাষের বিভিন্ন ভাগ অনুসারে মোট ৬ জন প্রগতিশীল কৃষকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান বৈজ্ঞানিক ড:নারায়ণ চন্দ্র সাহু মহাশয়।বিশেষ অতিথি রূপে ছিলেন ড: বি. কে. মহাপাত্র, প্রধান বৈজ্ঞানিক ICAR-CIFE, KOL ও ড: পি. কে. মুখোপাধ্যায় Retd. প্রধান বৈজ্ঞানিক ICAR-CIFE, Bhubaneswar, এছাড়াও ছিলেন বাসন্তীর মৎস্য আধিকারিক শ্রী গৌতম বিসাই, পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শ্রী হারান মল্লিক, সদস্যা শ্রীমতি জয়ন্তী মন্ডল প্রমুখ।সমগ্র অনুষ্ঠানটির মূল বিষয় বস্তু ছিল যে আগামীদিনে মাছ চাষে আরও প্রযুক্তির সমাগম ও আর্থিক বিকাশ। ওয়ার্ল্ড ভিশনের আধিকারিক শ্রী হংউই খংসুই জানান, বাসন্তী ব্লকের উন্নতির জন্য তারা বদ্ধ পরিকর।ড:স্বাগত ঘোষ আরও জানান যে বাসন্তীর নোনা জল ও স্বাদু জল উভয়কে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে চাষী ভাইদের আয় দ্বিগুণ করা যেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here