দেশের সময়,বনগাঁ: প্রায় ছয় ঘন্টা টানাপোড়েনের পর অবশেষে স্থানীয় একটি এম্বুলেন্সে করে বনগাঁ হাসপাতাল থেকে বেলেঘাটার উদ্দেশ্যে রওনা দিল করোনা আক্রান্ত সন্দেহের রোগী।
করোনা সন্দেহে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৭৪বছরের এক বৃদ্ধ । সকাল থেকে এম্বুলেন্স এর অভাবে তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। সে খবর বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠের কাছে পৌঁছাতেই। তোড়জোড় শুরু হয় বনগাঁ হাসপাতালে ৷ সাধারন এম্বুলেন্স কে কলকাতা পাঠানোর তোড়জোড় নিয়ে বনগাঁ হাসপাতাল চত্বরে শুরু হয় উত্তেজনা ৷ পরবর্তীতে বনগাঁ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সংক্রমণ প্রতিরোধ ড্রেস পরিয়ে ওই রোগীকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় স্থানীয় এম্বুলেন্সটি ৷ বৃদ্ধকে বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানাগেছে হাসপাতাল সূত্রে।
প্রসঙ্গত উপসর্গ দেখে করোনাভাইরাস সন্দেহ হওয়ায় ৭৪ বছরের এই বৃদ্ধকে বনগাঁ থেকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজি হচ্ছিলনা কোনও অ্যাম্বুল্যান্স। নিয়মের ফাঁসে আটকে গেছে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে কলকাতায় পাঠানোর উপায়ও। ফলে বিপাকে পড়েছিলেন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সমস্যায় পড়েন রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনকে। এখন তারা প্রশাসনের নির্দেশ আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
হাসপাতালের ডেপুটি সুপার সপ্তর্ষি চৌধুরী জানিয়েছেন যে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে যতটা সম্ভব চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায় তা তাঁরা দিয়েছেন। ওই রোগীকে ওষুধের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে এবং স্যালাইনও চলেছে। তিনি বলেন, “আমরা যা সন্দেহ করছি সেব্যাপারে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা সেই রোগের চিকিৎসা শুরু করতে পারব না।” পরে তিনি বলেন, “আমাদের হাসপাতালের যে অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে তা আমরা দিতে পারছিলাম না সংক্রমণের জন্য। প্রথমে অন্য অ্যাম্বুল্যান্স রাজি না হওয়ায় ওই রোগীকে স্থানান্তরিত করতে একটু সময় লেগে যায়। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন থেকেও কেউ রাজি হয়নি বলে জানান তিনি । গতকাল (শুক্রবার) রাত থেকে আমরা চেষ্টা করছি। আজ আমরা বিষয়টি এসডিওকে জানিয়েছি। এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা মতো আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।”
অবশেষে বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠের তত্বাবধানে ওই বৃদ্ধকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান এক এম্বুলেন্স চালক৷ দেখুন ভিডিও: