দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যখন চিনা যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের আনাগোনা বাড়ছে তখন আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না নয়াদিল্লি। পূর্ব লাদাখে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের মোতায়েন শুরু করে দিল ভারত। আপাতত ‘কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম’ মোতায়েন শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, চিন যে ধরনের অ্যাডভেঞ্চারিমে নেমে পড়েছে তাতে আর কোনও ঝুঁকি নেওয়ার অবস্থায় নেই ভারত। বিশেষ করে লাদাখের ইস্টার্ন সেক্টরে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির যুদ্ধ বিমান ও কপ্টারের গতিবিধ বাড়ায় তা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ওই সরকারি সূত্রে আরও বলা হয়েছে, লাদাখের পূর্ব দিকে সামগ্রিক ভাবে সেনা মোতায়েন ও প্রস্তুতি বাড়াতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনা। সেই বৃহত্তর কৌশলের অঙ্গ হিসাবেই ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থার মোতায়েনও শুরু হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিয়ন্ত্রণ রেখা নিকটবর্তী অঞ্চলে চিন তাদের যুদ্ধ বিমানের মোতায়েন বাড়িয়েছে। মূলত জে ১১ এবং জে ১৬ যুদ্ধবিমানের মোতায়েন বাড়িয়েছে বেজিং। এই লড়াকু বিমানগুলি রাশিয়ার সুখোই ৩০ বিমানের ডিজাইনে তৈরি। তবে এর উৎপাদন হয় সেংইয়াং এয়ারক্রাফ্ট ফ্যাক্টরিতে।
শুধু তা নয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের হেলিকপ্টার অনেক দিন ধরেই ঘুর ঘুর করতে দেখা যাচ্ছে। পেট্রলিং পয়েন্ট ১৪, ১৫, ১৭ এবং ১৭-এ –র কাছে চিনা হেলিকপ্টারের আনাগোনা গত মাসাবধি চলছে। এমনকি প্যাঙ্গং লেক পর্যন্ত তারা চলে আসছে।
তবে সূত্রের খবর, ব্যাপারটা এখন আর এক তরফা নেই। ভারতীয় লড়াকু বিমানও ওই এলাকায় এখন ঘন ঘন দেখা যাচ্ছে। বড় কথা পুরো সমরপ্রস্তুতি নিয়েই তারা সমতলের কোনও এয়ারবেস থেকে উড়ান নিচ্ছে। ভারতের এয়ার ডিফেন্সের মধ্যে অন্যতম হল আকাশ সারফেস টু এয়ার মিসাইল। এই ক্ষেপণাস্ত্র অতি দ্রুতগামী কোনও যুদ্ধবিমানকে বা দ্রোনকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নামিয়ে দিতে পারে।
সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, ভারতের এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা দ্রুত আরও মজবুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, খুব শিগগির বন্ধু রাষ্ট্র থেকে ক্ষেপণাস্ত্র আমদানি করছে নয়াদিল্লি।