দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উন্নাওয়ের ধর্ষিতা দগ্ধ তরুণীর মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার রাতে। গত কয়েকদিনের লড়াই শেষে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে সমস্ত লড়াই থেমে যায় তরুণীর। শনিবার সকালে ওই ঘটনা নিয়ে টুইট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন,
“নিষ্ঠুরতার কোনও সীমা নেই৷”
উন্নাওয়ে গত মার্চে পাঁচ জন মিলে ধর্ষণ করে বছর তেইশের ওই তরুণীকে। ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। বাকি দু’জন এখনও ফেরার। গত সপ্তাহে জামিনে ছাড়া পায় অভিযুক্তরা। বৃহস্পতিবার এই ধর্ষণের মামলায় শুনানির জন্য তরুণী যখন আদালতে যাচ্ছিলেন, তাঁর রাস্তা আটকে দাঁড়ায় পাঁচ অভিযুক্ত। তরুণী সেই সময় ছিলেন রেল গেটের কাছে। তাঁকে টেনে হিঁচড়ে পাশের ধান ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানেই তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
গতকালই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে দ্রুত চার্জশিট দিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব। তিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে। কাগজপত্র জোগাড় করতে হবে।’’ কোনও ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠলেও সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে বলেও বার্তাও দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা জরুরি অবস্থা হিসেবে দেখতে হবে। যে করবে না, তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে।’’
Sad. Cruelty has no limitations #Unnao pic.twitter.com/z3H59pzBB5
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 7, 2019
মহিলাদের উপর অত্যাচার প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘আমি কোনও মহিলার উপর অত্যাচার সহ্য করি না। হায়দরাবাদ ও উন্নাওয়ের ঘটনা আমাকে নাড়া দিয়েছে। উন্নাওয়ের কেসটা জানত সবাই। তার পরেও কী ভাবে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হল।’’ দক্ষিণ দিনাজপুরে একটি ধর্ষণকাণ্ডে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। এ দিন সেই উদাহরণ টেনে মমতা বলেন, ‘‘আমরা সরকারে আসার পর দক্ষিণ দিনাজপুরে ধর্ষণকাণ্ডে তিন দিনে চার্জশিট দিয়েছিলাম।’’