দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দায়িত্ব কমল নির্মল মাজির। এনআরএস ও বিসি রায় মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে নির্মল মাজিকে সরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্ব ফের দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের কাউন্সিলর তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে।
বিসি রায় মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্ব কাকে দেবেন, সে ব্যাপারে এখনও কিছু খোলসা করেননি মমতা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে আড্ডা চলছিল। সেখানেই হাজির ছিলেন নির্মল মাজি। মমতা হঠাৎ নির্মলকে উদ্দেশ করে বলেন, “এই নির্মল তুই একা সবগুলো রোগীকল্যাণ সমিতিতে থাকবি, আর শান্তনু একটাতেও থাকবে না, এটা তো হতে পারে না।” তারপরেই তিনি নির্মলকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কটি রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তার উত্তরে নির্মল বলেন, “দিদি তিনটে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস ও বিসি রায় মেডিক্যাল কলেজ।”
জানা গিয়েছে, মমতা তারপরেই নির্মলকে বলেন, “তুই মেডিক্যাল কলেজে পড়েছিস। ওখানকার রোগীকল্যাণ সমিতির দায়িত্ব তোর থাক। এনআরএসের চেয়ারম্যান শান্তনু হবে। বিসি রায়ের দায়িত্ব কাকে দেওয়া যায় দেখছি।” একথা বলেই নিজের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি গৌতম সান্যালকে ফোন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন মমতা।
স্বভাবতই এই রদবদলের পরে প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কী হল, যে এই বদল ঘটালেন মমতা। একেবারে দুটো মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্ব থেকে ছেঁটে ফেলা হল নির্মলকে। সেইসঙ্গে ফের দায়িত্ব বাড়ল শান্তনু সেনের। ঘরোয়া আলোচনায় তৃণমূল নেতারা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী কিছুই হঠাৎ করে করেন না। যা করেন, ভেবে-চিন্তেই করেন।
কয়েক দিন আগে মেডিক্যাল কলেজে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নির্মল মাজিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তার জবাবে পড়ুয়াদের নকশাল বলেন নির্মল। তাঁদের কুকুরের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি। এই নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। বারবার এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্যই তাঁকে সতর্ক করলেন মমতা।
অন্যদিকে শান্তনু সেন বর্তমান কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর এবং রাজ্যসভার সাংসদ। কিন্তু আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের ফলে নিজের ওয়ার্ড হারিয়েছেন শান্তনু। দলীয় সূত্রে খবর, এবার হয়তো আর কাউন্সিলর পদে টিকিট দেওয়া হবে না শান্তনুকে।
তাই আগেভাগেই তাঁকে এনআরএসের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করে স্বান্তনা পুরস্কার দিলেন মমতা। গত জুন মাসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান থেকে শান্তনুকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। এবার তাঁকে দিলেন এনআরএসের দায়িত্ব।