দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এই মুহুর্তে নিম্নচাপ বাংলা থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে সরে গিয়েছে। আর সেটি দেওঘরের কাছাকাছি রয়েছে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাতে খুব বেশি বৃষ্টি হবে না।

নিম্নচাপের জেরে এবার উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও জেলায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতার আকাশ থাকবে মেঘলা। মহানগরীতে বৃষ্টি অথবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবাহওয়া দফতর এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে।

গত কয়েকদিন বেশ গরম ছিল। টানা বৃষ্টিতে সেই সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া গিয়েছে। তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে বৃষ্টির জন্য জল জমে বিভিন্ন জায়গায় সমস্যা তৈরি হয়েছে৷

তবে ভারী বৃষ্টি হবে বাংলার পশ্চিমের জেলাগুলিতে। বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া,পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া  মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব বর্ধমানে হালকা বৃষ্টি হবে। এই নিম্নচাপ সরে যাওয়ার ফলে উত্তরবঙ্গের আগামী ৪৮ ঘণ্টার অতি ভারী বৃষ্টি হবে। দার্জিলিং ও কালিম্পঙে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি হবে। কলকাতায় হালকা বৃষ্টি হবে।

শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতয় আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অতি ভারী বৃষ্টি হবে না বলেই অনুমান আবাহওয়াবিদদের। আগামী কয়েকদিন কলকাতার আকাশ থাকবে মেঘলা। আর দু-এক ফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।

বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। কখনও প্রবল, কখন টিপটিপ করে। আর এ কারণে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়।
এর ফলে প্রবল সমস্যা পড়েন মানুষ। গাড়ি চলাচলে নাজেহাল হতে হয় তাদের। যানবাহনের গতিবেগ ধীর গতির হয়ে যায়। জল জমে যাওয়ার ফলে মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বৃষ্টির জেরে প্রবল সমস্যা তৈরি হয় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। আর দুর্ভোগে পড়েন মানুষ। বাড়িতে, রাস্তায় জল জমে যায়। ফলে নাকাল হতে হয় তাঁদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here