দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃবিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবারই প্রথম নন্দীগ্রামে পা রেখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া, গোকুলনগর থেকে শুভেন্দুর অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার সময় তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বুধবার সেই আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রাম ভারতের বাইরে নয়, বাংলারও বাইরে নয়। এখানে যাঁর যাঁর নিজস্ব ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ২০০৭-০৮ থেকে একটা বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদের হঠিয়েছি। তাদের কাছেও পুলিশ ছিল, অস্ত্র ছিল, ক্যাডার ছিল, হার্মাদ ছিল। কিন্তু শেষ কথা বলেন মানুষই। এখন কেউ কেউ সেটা বুঝতে চাইছেন না।” নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতার কথায়, “আজকে অনেক মহিলা এসে বলছিলেন কালকে তাঁদের কী কী কদর্য ভাষা বলা হয়েছিল। এই মায়েদের কান্নাই ওদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে।” নিজের ধর্মের প্রতি আস্থাশীল ও পরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছেন শুভেন্দু।
এদিন সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, “কালকে ওখানে আমাদের পাঁচ হাজার ভক্ত ছিলেন। আর ওরা ১৫ জন মিলে এসব করেছে। গতকালই পাল্টা প্রতিরোধের জন্য ওখানে যেতে চেয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি।”
গতকাল সোনাচূড়া ও গোকুলনগর এলাকা থেকে কয়েকটি গাড়িতে বিজেপি কর্মীরা শুভেন্দুর অরাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তখন নন্দীগ্রাম বাজারের কাছে ভূতার মোড়ে তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতে।