দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণ আর লকডাউনের মারে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ধুঁকছে, তখন একের পর এক সম্পত্তি বৃদ্ধির নজির গড়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। আর তার জেরেই নতুন পালক তাঁর মুকুটে। ধনী ব্যক্তি হিসেবে মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটকে ছাড়িয়ে গিয়েছ‌িলেন আগেই৷ এবার গুগল-এর কর্ণধার সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজকেও ছাড়িয়ে গেলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর চেয়ারম্যান। মোট সম্পত্তির নিরিখে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির তকমা আগেই পেয়েছিলেন। এবার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এলেন তিনি।

মুকেশ আম্বানির বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৭ হাজার ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার৷ ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫ লক্ষ ৪৪ হাজার কোটির সমান। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, শুধু সোমবারই রিলায়েন্সের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩ শতাংশ। শেয়ারের এই দাম বৃদ্ধির ফলে একদিনেই মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি বেড়েছে ২.১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। গত তিন সপ্তাহে যে হারে আম্বানির সম্পত্তি বেড়েছে তা এককথায় অবিশ্বাস্য। এই সময়েই সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৭.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা।

গত শনিবারই ৬৩ বছর বয়সি মুকেশ আম্বানি ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটকে ছাপিয়ে বিশ্বের ধনীর তালিকায় অষ্টম স্থান পান। দু’দিন যেতে না যেতেই আরও দু’ধাপ উঠে ষষ্ঠ ধনীতম ব্যক্তি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর চেয়ারম্যান৷

গত এপ্রিল থেকে রিলায়েন্স জিও-তে একের পর এক বিদেশি বিনিয়োগ আসছে৷ যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ফেসবুক। ফেসবুকের সঙ্গে রিলায়েন্স জিও’র রেকর্ড অর্থের চুক্তির পরই এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির তকমা পান মুকেশ আম্বানি। রেকর্ড ৪৩,৫৭৪ কোটি টাকার বিনিময়ে ফেসবুক রিলায়েন্স জিও’র ৯.৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। জিও প্ল্যাটফর্মে সম্প্রতি ৭৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা কোয়ালকম ভেঞ্চার্স৷ একের পর এক বিদেশি বিনিয়োগের ফলে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এখন সম্পূর্ণ ঋণমুক্ত একটি সংস্থা৷ মুকেশ আম্বানির টার্গেট ছিল ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ঋণমুক্ত হয়ে যাবে৷ তার অনেক আগেই সংস্থার সব ঋণ শেষ৷ তার জেরে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর উপরে শেয়ার লগ্নিকারীদের আস্থাও বেড়ে গিয়েছে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here