দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা কোনও দিন সে অর্থে আলোকবৃত্তে আসেননি।
অথচ, তাঁরা গোটা জীবন ধরে গ্রাম-শহরের মনন এবং সাংস্কৃতিক মানচিত্রকে রঙিন করে তুলেছেন।
মাটি থেকে উঠে আসা সেই সব মানুষের কথা জানাতে ” দেশের সময়” এর উপস্থাপনা-” দেশের মানুষ”

আত্মজিৎ চক্রবর্তী,হাবরা:

“জীবনের মূল্য আয়ুতে নহে
কল্যাণ অপুত কর্মে” -এই আপ্তবাক্য কে পাথেয় করেই এগিয়ে চলেছেন অনুকূল বাবু ।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ার বাসিন্দা অনুকুল মল্লিক । দেখুন ভিডিও:

হাবরা সুপার মার্কেটে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান তার । সেই দোকান থেকে নিজে যা আয় করেন তাই দিয়ে নিজেরই সংসার ঠিকঠাক করে চালাতে নাস্তানাবুদ হতে হয় তাঁকে ৷চলে না সংসার তবুও খেতে না পাওয়া অসহায় মানুষের পাশে অনুকূল বাবু । ছোটবেলা থেকেই দারিদ্রতার সাথে লড়াই করতে করতে বড় হওয়া তাঁর । খুবই ছোটে বেলায় বাবাকে হারানো পর চার সন্তান এবং তিন কন্যাকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েন তার মা । দিশেহারা হয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে তার মা সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায়। কোনক্রমে ছোট্ট চায়ের দোকান চালিয়ে শেষে তিল তিল করে পয়সা জমিয়ে সামান্য আয় দিয়ে চলছে তাদের সংসার। অনুকূল বাবু এই অভাবে-র মধ্য দিয়েও খুঁজে পেতে চান একটুকরো আনন্দ। দারিদ্রতার কষ্ট যে কি নিদারুন ভয়ঙ্কর হতে পারে সে উপলব্ধি তার যথেষ্ট, হয়তো সেই জন্যই তার যৎসামান্য আয়ের থেকেই আজ এই দুর্দিনে তিনি কিছু অসহায় মানুষের জল খাবারের ব্যবস্থা করেন।

ক্যমেরার সামনে আসতেই মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বলেন আমি প্রচারের আলোয় আসতে চাই না আমি শুধু চাই আমাকে দেখে আরো কিছু ব্যাক্তি এগিয়ে আসুক । তিনি আরো জানান করোনার প্রথম ঢেউ যখন রাজ্যে প্রবেশ করে তখন থেকেই আমি সাধারণ মানুষের পাশে । যদিও কিছু সহৃদয় ব্যক্তি আমাকে অনুসরণ করে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে । আমি চাই আর কিছু ব্যাক্তি এগিয়ে আসুক ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here