দিল্লিতে আমাকে কেউ কেউ গণতন্ত্র শেখাতে চায়, নাম না করে রাহুল’কে কটাক্ষ মোদীর

0
632

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, ভারতে গণতন্ত্র নেই। শনিবার পরোক্ষে রাহুলের ওই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “দিল্লিতে কেউ কেউ আমাকে গণতন্ত্র শেখাতে চাইছে।”
মোদীর কথায়, “দিল্লিতে কেউ কেউ আমাকে নিয়মিত কটাক্ষ করে। অপমান করে। তারা আমাকে গণতন্ত্র শেখাতে চায়। আমি তাদের জম্মু-কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পরিষদে ভোটের ফল দেখতে বলব। ওই হল গণতন্ত্র।” এদিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বাসিন্দাদের জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সূচনা করেন মোদী। তখনই তিনি ওই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “কয়েকটি রাজনৈতিক শক্তি গণতন্ত্র নিয়ে খুব ভাষণ দেয়। কিন্তু তাদের দ্বিচারিতা ধরা পড়ে গিয়েছে। যে দলটি পুদুচেরিতে ক্ষমতায় আছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও আঞ্চলিক স্তরে ভোট করায়নি। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার এক বছরের মধ্যে সেখানে পঞ্চায়েত স্তরে ভোট হয়েছে।”

মোদীর মতে, জম্মু-কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পরিষদের ভোট সেখানে গণতন্ত্রের শিকড়কে মজবুত করেছে। আট দফা ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের ভোটারদের অভিনন্দন জানান। তাঁর কথায়, “গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য আমি জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে অভিনন্দন জানাই। আমি দেখেছি, কীভাবে সেখানকার যুবক, বৃদ্ধ নির্বিশেষে ভোট দিয়েছেন।”
গত বৃহস্পতিবার রাহুল বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। কেউ প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করলেই তাঁকে বলা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদী। এমনকি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত যদি মোদীর সমালোচনা করেন, তাঁকেও সন্ত্রাসবাদী বলা হবে।

পরে রাহুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন যাতে তাঁর অনুগত শিল্পপতিরা মুনাফা করতে পারে। কেউ তাঁর বিরুদ্ধে কথা বললে তাঁকে বলা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদী। কৃষক, শ্রমিক এমনকি মোহন ভাগবতও যদি সরকারের সমালোচনা করেন, তাঁকে সন্ত্রাসবাদী বলা হবে।” এর পরে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “ভারতে গণতন্ত্র নেই। আপনি যদি ভাবেন গণতন্ত্র আছে, তা শুধু আছে আপনার কল্পনায়।”
শুক্রবার কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দেন মোদী। তিনি বলেন, “কিছু লোক মিথ্যা কথা প্রচার করে চলেছে। তারা বলছে, কৃষকরা চুক্তি চাষ করলে তাঁদের জমি কেড়ে নেওয়া হবে।” এরপরে প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের কথা তোলেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জন্য যে তহবিল তৈরি করেছে, তার টাকা নিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ। তাঁর কথায়, “কেবল পশ্চিমবঙ্গই কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে কৃষকদের জন্য টাকা নেয় না। ব্যাপারটা খুবই দুঃখের। পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক কৃষক কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজের রাজ্যে চাষিদের এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। এই সরকারই আবার পাঞ্জাবে গিয়ে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করছে।”

Previous article‘একুশ বছর তৃণমূল করেছি, ভেবেই লজ্জা লাগছে’, বিজেপিতে নতুন দায়িত্বের কথা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী
Next articleনন্দীগ্রামে রাজনৈতিক বাকযুদ্ধে ৮ এ শুভেন্দুর সঙ্গে থাকবে মুকুল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here