দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নয়ের দশকে সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রার কাণ্ডারী ছিলেন তিনি। আজ, ৫ অগস্ট অযোধ্যায় সেই ঐতিহাসিক রামমন্দিরের ভূমিপূজন। তার আগে ভিডিও বার্তায় আবেগ ঝরে পড়ল বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর গলা থেকে। তাঁর কাছে এই দিন শুধু ঐতিহাসিক নয়। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণেরও বটে।

ওই ভিডিও বার্তায় রামমন্দির আন্দোলনের পুরোধা নেতা বলেছেন, “জীবনের কিছু স্বপ্ন পূর্ণ হতে সময় লাগে। কিন্তু যখন তা চরিতার্থ হয়, তখন মনে হয় প্রতীক্ষা সার্থক হল।’’ রাম জন্মভূমিতে রামমন্দির তৈরি যে ভারতীয় জনতা পার্টিরও স্বপ্ন ও লক্ষ্য ছিল তাও উল্লেখ করেন ৯২ বছর বয়সী এই নেতা। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রামমন্দিরের ভূমিপজন করবেন। এটা সমস্ত ভারতীয়র কাছে একটা মহৎ দিন। অযোধ্যায় ভব্য রামমন্দির নির্মাণ ভারতীয় জনতা পার্টিরও স্বপ্ন ছিল।”

जीवन के कुछ सपने पूरा होने में बहुत समय लेते हैं, ऐसा ही एक सपना जो मेरे हृदय के समीप है, अब पूरा हो रहा है।
— BJP (@BJP4India) August 4, 2020
अयोध्या में श्रीराम जन्मभूमि पर पीएम श्री नरेन्द्र मोदी द्वारा श्रीराम मंदिर का भूमिपूजन सभी भारतीयों के लिए ऐतिहासिक और भावपूर्ण क्षण हैं: श्री लालकृष्ण आडवाणी pic.twitter.com/81SbFV1YXa
ঐতিহাসিক রথযাত্রার কথা উল্লেখ করে প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৯০ সালে সোমনাথ থেকে অযোধ্যা রথযাত্রার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আমাকে। সেই সময়ে বহু মানুষের আশা-আকাঙ্খার কথা জেনেছিলাম। এই মন্দির নির্মাণের পিছনে বহু মানুষের আত্মত্যাগ রয়েছে।”

গত বছর নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল রামমন্দির নির্মাণের। আডবাণী বলেন, “সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে শান্তিপূর্ণ বাতাবরণে মন্দির তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। এটা ভারতীয়দের পারস্পরিক সম্পর্ককে মজবুত করতে সাহায্য করবে। শ্রীরামচন্দ্র ভারতীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতার সর্বোচ্চ প্রতীক। বিনয় ও শিষ্টাচারের মূর্ত রূপ। কাউকে বহিষ্কৃত না করে সুশাসন কায়েম হলে তবেই রামরাজ্যের পথে আমরা এগোতে পারব।”

অনেকের মতে, আডবাণীর এই শিষ্টাচার ও বহিষ্কারের প্রসঙ্গ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন। কারণ বিজেপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি তো বটেই রামমন্দিরের ভূমিপূজনে তাঁর আমন্ত্রণ পাওয়া, না পাওয়া নিয়েও একপ্রস্থ নাটক হয়েছে। প্রথমে জানা যায়, তাঁকে এবং মুরলী মনোহর যোশীকে নেমন্তন্নই করা হয়নি। যদিও পরে ফোনে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলা হয়, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যেন তাঁরা ভূমিপুজোতে যোগ দেন। এ ব্যাপারে রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে আডবাণীজির বয়সের জন্যই তাঁরা তাঁকে দিল্লি থেকে অযোধ্যায় আসার কথা বলেননি। কিন্তু তাতে বিতর্ক থামেনি। আডবাণীর ভিডিও বার্তায় সুশাসন, বহিষ্কার, শিষ্টাচার—এই শব্দগুলোই যেন তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
