দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ইডেন গার্ডেন্সে গোলাপি বলের টেস্ট শেষ হয়েছে তিনদিন আগে। কিন্তু এর মধ্যেই গোলাপি বলের উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যেই বাদ পড়েনি সীমান্ত শহর বনগাঁও৷এই শহরের সবচেয়ে কাছে বাংলাদেশ,আর সেই দেশের সাথেই গোলাপি বলে খেলা হয়েছিল, তারই জেরে কচিকাঁচা থেকে শুরু করে তরুণ প্রজন্ম, সবাই চাইছে এই নতুন বলের স্বাদ নিতে।এমন কি ট্রাভেল ভিসা নিয়ে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় আসছে ক্রেতারা৷ আর তাই দোকানে দোকানে বাড়ছে চাহিদা। হিমশিম খাচ্ছেন হোলসেলাররা। বনগাঁর একটি স্পোর্টস শোরুম হবি-সেন্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মী সঞ্জু বাবুর কথায় বারবার অর্ডার দিতে হচ্ছে সান্সপ্যারেইলস গ্রিনল্যান্ডস ( এসজি ) কোম্পানির কাছে, যারা এই গোলাপি বল বানিয়েছেন।প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম জোগান মিলছে গোলাপি বলের, স্থানীয় চাহিদার সাথে বাংলাদেশের অনেক ক্রেতারা আসছেন এই বল কিনতে৷
ফ্রি ইন্ডিয়া স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রিজ-এর মালিক পুনীত সচদেব জানিয়েছেন, “গত তিনদিনে আমি প্রায় ১৫ প্যাকেট গোলাপি বল বিক্রি করেছি। এর আগে কখনও এরকম হয়নি। আমরা কম করেই অর্ডার দিয়েছিলাম। কিন্তু গোলাপি বল ঘিরে যা চাহিদা তাতে এবার বড় অর্ডার দিতে হবে।” একই বক্তব্য শহরের ছোট-বড়-মাঝারি সব খেলার সামগ্রী বিক্রেতাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, শুধু ছেলেরা নয়, তাদের বাবা-মায়েরাও আসছেন বল কিনতে। এমনকি বিভিন্ন কোচিং ক্যাম্পগুলোও গোলাপি বলে প্র্যাকটিস করানোর চিন্তাভাবনা করছে। তাই তাদের কাছ থেকেও অর্ডার আসছে।
এর আগে গোলাপি বল নিয়ে এই উন্মাদনা ছিল না বলেই জানাচ্ছেন দোকানদাররা। তাঁদের বক্তব্য, গোলাপি বলে খেলা তো অনেক বছর আগেই শুরু হয়েছে। কিন্তু ভারতে এই বলের চাহিদা ছিল না। তবে যবে থেকে ইডেনে গোলাপি বলের টেস্ট হয়েছে তবে থেকে এই বল ঘিরে এক উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। মফস্বল থেকেও অনেকে বলের অর্ডার দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হোলসেলাররা।
মফস্বলেও গোলাপি বলের উন্মাদনা বাড়ছে। বর্ধমানের এক দোকানদার রাজীব সেন তাঁর দোকানে একটি বল রেখেছিলেন। কাঁচের শোকেসের বাইরে সেই বল দেখতে পেয়ে গত তিনদিনে কম করে হলেও ৫০জন এসেছেন কিনতে। তিনি সবাইকে বলেছেন একটু অপেক্ষা করতে হবে। তিনি অর্ডার দিয়েছেন। এলে তবেই বিক্রি করতে পারবেন। মফস্বলের অনেক দোকানদার তো আবার কলকাতায় অর্ডার না দিয়ে সরাসরি বল প্রস্তুতকারী সংস্থাকেই অর্ডার দিয়েছেন।
এই উন্মাদনা দেখে খুশি এসজি কোম্পানিও। তাদের মার্কেটিং ডিরেক্টর পারস আনন্দ জানিয়েছেন, “গোলাপি বলের টেস্ট দারুণ সফল। তাই এই চাহিদা বাড়ছে। আমরাও গোলাপি বল তৈরি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছি। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই সব দোকানে এই বল পাওয়া যাবে।”
বাংলাদেশ থেকে আগত সাইফুল আলম জানান এই গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচের সময় কলতায় ছিলাম, নিজে চোখে দেখেছি এই বলের উন্মাদনা,তাই আমি এবং আমার মতো অনেকেই এই বল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কলকাতা ও বনগাঁ থেকে।