দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এবার মনুয়াকাণ্ডের ছায়া গাইঘাটায়। স্বামীকে খুন করে প্রেমিকের ঘরে খাটের নিচে পুঁতে রাখার অভিযোগ। মাটি খুঁড়ে নিহতের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। আটক অভিযুক্ত স্ত্রী। অভিযুক্তকে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। ঘটনার জেরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার গাইঘাটার গোয়ালবাথান এলাকায় একটি পুকুর পাড়ে রক্ত দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর যায় গাইঘাটা থানায়। এরপর পুলিশ ও স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করে সংলগ্ন বাঁশবাগান থেকে এক জোড়া জুতো, মাস্ক এবং টর্চ উদ্ধার করে। এরপর আসল ঘটনা সামনে আসে বুধবার। এদিন সকালে এলাকারই বাসিন্দা সুজিত দাসের বাড়ির সামনেও রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায় খোঁড়া হয়েছে খাটের নিচের মাটি। তা দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপরেই শুরু হয় খোঁড়াখুঁড়ি। কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার হয় ক্ষতবিক্ষত দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ব্যক্তির নাম রামকৃষ্ণ সরকার। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নিহতের স্ত্রী স্বপ্না সরকারের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সুজিতের। কিন্তু প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রামকৃষ্ণ। তাই পথের কাঁটা পরিস্কার করতেই খুন করা হয়েছে রামকৃষ্ণকে। অভিযুক্ত স্বপ্নাকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। তাঁকে জেরা করেই ঘটনার প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, বছর কয়েক আগে প্রেমিকের সঙ্গে চক্রান্ত করে স্বামীকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হয় উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা মনুয়া মজুমদার। গ্রেফতার করা হয় তার প্রেমিক অজিত রায়কেও। গতবছর মনুয়া ও অজিতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।