দেশের সময়, গাইঘাটা: গত ১৮ ই নভেম্বর গাইঘাটায় পুষ্টি বাগান রচনার একটি প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজিত হয়। আয়োজক ছিল ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ — সর্ব ভারতীয় সমন্বিত ফল গবেষণা কেন্দ্রের অধীন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহনপুর শাখা (ICAR-AICRP on Fruits, BCKV, Mohanpur Unit). গাইঘাটা রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম সন্নিহিত শিশু উদ্যানে এই শিবির বসে। এখানে উপস্থিত ছিলেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কল্যাণ চক্রবর্তী, প্রকল্প আধিকারিক অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার মিশ্র, জলেশ্বর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীমতী মৌসুমি সাহা, গাইঘাটা রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম সঙ্ঘের শিক্ষক শ্রী শঙ্কর নাথ, সমাজসেবী শ্রী অংশুমান গাঙ্গুলি প্রমুখ ব্যক্তিত্ব।

অধ্যাপক চক্রবর্তী সেখানে আবাস সন্নিহিত পুষ্টি বাগান পরিকল্পনার বিশদ ব্যাখ্যা করেন। কেন পুষ্টি বাগান বা রান্না-বাগান/কিচেন গার্ডেন করতে হবে, তার সামাজিক দিকটিও আলোচনা করেন তিনি। আমাদের দৈনিক ৮৫ গ্রাম থেকে ১২০ গ্রাম ফল খাওয়া দরকার পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য, ২২০ গ্রামের মতো সব্জি পাতে দিতে হবে। কিন্তু এখনও বহু মানুষ এই পরিমাণ পুষ্টি পান না। তাই খাদ্য নিরাপত্তা পেলেও পুষ্টি নিরাপত্তা এখনও অধরা। এজন্যই ফলের বাগান, সব্জি বাগান, পুষ্টি বাগান রচনা করতে হবে বলে মত প্রকাশ করে অধ্যাপক চক্রবর্তী।

অধ্যাপক মিশ্র আলোচনা করেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে একাজে কৃষক ও বাগানীকে সহায়তা করতে পারে। তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সম্পর্কে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা বলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গাইঘাটা ও বনগাঁর বহু মানুষ বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন এবং উন্নত পদ্ধতিতে ফলচাষে নিয়োজিত হয়েছেন৷ আগামী দিনে আরও প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে অধ্যাপক মিশ্র জানিয়েছেন, বিশেষ করে তপশিলি জাতির কৃষকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here