দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বে ছিন্নভিন্ন বাংলার বিজেপি। আর তাই বঙ্গ বিজেপিকে শিক্ষা দিতে শেষমেশ আসরে নামতে হল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বঙ্গবিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ডানা ছেঁটে দেওয়া হল।
কেন্দ্রের বার্তা, এভাবে দলের মধ্যে সমস্যা করে লাভ নেই। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন জেতার দিকে মন দেওয়া উচিত। সম্প্রতি রাজ্য সম্পাদক হিসেবে আরএসএস প্রচারক অমিতাভ চক্রবর্তীকে নিয়োগ করা হয়েছে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায়। যিনি ২০১৪ সাল থেকে এই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সুব্রত দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ মানুষ ছিলেন বলে দিলীপ ঘোষ এই সিদ্ধান্তে খুশি নন।
আর কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বলা হয়েছে, বাংলার চাইতে মধ্যপ্রদেশে বেশি সময় কাটান। তাঁর বদলে এখন বঙ্গবিজেপর অধিকাংশ দায়িত্ব পালন করবেন শিবপ্রকাশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, এই দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে ঐক্যে খামতি পড়ছে। যেখানে ২০২১ নির্বাচন ছিল মূল লক্ষ্য, সেখানে দলের মধ্যেকার সমস্যা মেটানোর কাজে মন দিতে হচ্ছে বঙ্গবিজেপিকে। দলের মধ্যে দু’টো ভাগ তৈরি। দিলীপ ঘোষের শিবির ও মুকুল রায়ের শিবির।
তৃণমূল বা অন্য দল থেকে যাঁরা বিজেপিতে আসছেন, তাঁরা মুকুলের পক্ষ নিচ্ছেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় বিজেপি করেন, তাঁরা দিলীপের পাশে। এছাড়াও সদ্য রাহুল সিন্হাকে সরিয়ে মুকুলকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে বড় পদ দেওয়া হয়েছে। এতেও মন কষাকষি বেড়েছে। অন্যদিকে সপ্তমীর দিন দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করেছিলেন, ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সব জেলা সভাপতি ও কমিটি বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বিজেপির জেলা সভাপতি দলীয় মোর্চার দায়িত্ব সামলাবেন।
এতে ক্ষুব্ধ হন সৌমিত্র খাঁ। প্রকাশ্যেই জানান, দলের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। এই ঘটনার পরই অষ্টমীর দিন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন সৌমিত্র খাঁ। যদিও কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন তিনি।
দলের নেতাদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর বাংলায় ক্ষমতায় নাও আসতে পারে বিজেপি। আমাদের কাছে একুশের লড়াইটাই মূল লক্ষ্য। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ জয় করে আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজীকে বিশেষ উপহার দিতে হবে।