দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ কাশ্মীরের কুলগ্রামে বাংলার ৬ শ্রমিকের হত্যার ঘটনায় বুধবারই করা নিন্দা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারের জন্য সরকারের তরফে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেছিল সরকার। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ঘুরিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরই দায় চাপালেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।
এদিন সল্টলেক সিটি সেন্টারে একটি অনুষ্ঠান থেকে বেরোনোর সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীরে এখন সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ। ওখানকার প্রশাসন এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে।” তাঁর কথায়, “কে কোথাকার লোক সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা তাঁরা সবাই মানুষ।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে এই শ্রমিকদের। তাঁরা বাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার মধ্যেই এই নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের প্রশাসন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। এদিকে আজ থেকেই জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে পথ চলা শুরু করছে সরকারি ভাবে। কিন্তু এদিন মমতা সরাসরি না বললেও, বাংলার শ্রমিকদের উপরের হামলার ঘটনায় ঘুরিয়ে দায় চাপালেন কেন্দ্রের উপরেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এরাজ্যেও তো কত অন্য রাজ্যের মানুষ রয়েছেন। তাঁরা কিন্তু বাংলায় নিরাপদেই আছেন।”
কাশ্মীরে বাইরে থেকে আসা লোকেদেরই ইদানীং সন্ত্রাসবাদীরা আক্রমণের নিশানা করে নিয়েছে। অনেকের মতে, কারণ স্থানীয় মানুষ মারা গেলে তারা এলাকায় কোনওরকম সাহায্য বা মদত পাবে না বলেই মনে করছে। গতকালও অনন্তনাগে একজন ট্রাক ড্রাইভারকে গুলি করে মেরেছে জঙ্গিরা। সেই সঙ্গে সোপোরে একটি বাস স্ট্যান্ড লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়েছে।
পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে উপত্যকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা যে অনবরত চলছে তা ধারাবাহিক ভাবে জানিয়ে চলছে ভারত। শুধু তা নয়, নয়াদিল্লির বক্তব্য যুদ্ধ বিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের তরফে গোলাবর্ষণও বিক্ষিপ্ত ভাবে চলছে। হতে পারে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানোর জন্যই এই ধরনের গোলাবর্ষণ চালানো হচ্ছে। তবে তা রুখে দিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীও তৎপর। কুলবাগের হামলাকারীদেরও খুঁজে বার করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।