দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস। ভারতেও দিন দিন বাড়ছে এই সংখ্যা। বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪। কর্ণাটক ও দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু শুধুমাত্র প্রশাসনের তরফে নয়, সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত নিজেদেরও। কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলেই মুক্তি মিলবে এই ভাইরাসের হাত থেকে।
সব বয়সের মানুষেরই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কিছু সাধারণ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। সেগুলো হল—
• কারও সঙ্গে হ্যান্ডশেক না করে বা হাত না মিলিয়ে নমস্কার করার সংস্কৃতি অনুসরণ করুন।
• হাতের হাইজিন তথা পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
• যাদের হাঁচি-কাশি হচ্ছে তাদের থেকে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন বা তাদের এড়িয়ে চলুন।
• আপনার যদি শ্বাসযন্ত্রে কোনও সমস্যা শুরু হয় বা ঘন ঘন হাঁচি, শুকনো কাশি শুরু হয়, নাক দিয়ে সর্দি জল গড়ায়—তাহলে মুখে মাস্ক পরুন।
• শ্বাস প্রশ্বাস সংক্রান্ত পরিচ্ছনতা ও সুস্থ অভ্যাস বজায় রাখুন।
• খাবার তৈরির সময় যথাসম্ভব নিরাপদ ব্যবস্থা বজায় রাখুন। অর্থাৎ রান্না করে বা সেদ্ধ করে খাবার খান। অর্ধেক রান্না বা আধা সেদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা ভাল।
• পশু খামার বা মাছ মাংসের বাজার বিশেষ করে যেখানে মাংস কাটা হচ্ছে সে সব জায়গা এড়িয়ে চলাই ভাল।
• হাতের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে নির্দিষ্ট সময়ান্তরে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে ফেলুন।
• অন্তত কুড়ি সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত কচলে ধুয়ে নিন।
• হাত পরিষ্কার রাখার জন্য স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। তবে তাতে অ্যালকোহলের পরিমাণ ৬৫ থেকে ৯৫ শতাংশ হওয়া উচিত।
• যে ব্যক্তি হাঁচি কাশি দিচ্ছে তার থেকে অন্তত দু-হাত তথা ৬ ফুট দূরে থাকুন।
• মুখে হাত চাপা দিয়ে হাঁচি কাশি দেবেন না। কাঁধের কাছে মুখ গুঁজে হাঁচি কাশি দেবেন।
• আপনার যদি সর্দি হয়ে থাকে তা হলে যতটা সম্ভব ডিসপোসেবল টিসু দিয়ে নাক ঢেকে রাখুন।
• ওই টিসু কোনও নির্দিষ্ট বিন বা ডাস্টবিনেই ফেলবেন। যত্রতত্র ফেলবেন না।
• যে ব্যক্তি হাঁচি কাশি দিচ্ছে তাকে সার্জিকাল মাস্ক দিন।