করোনা পরিস্থিতি পেরিয়ে ফের দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করাই লক্ষ্য, বললেন মোদী

0
726

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের আক্রমণে দেশে রোজ মৃত্যু বেড়েই চলেছে। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউনের জেরে দয়ে পড়েছে অর্থনীতি। এক প্রকার স্তব্ধ শিল্পোৎপাদন। এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফের আত্মনির্ভরতার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। মঙ্গলবার কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ  (সিআইআই)-র ১২৫ বছর উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে দেশীয় সংস্থাগুলিকে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এই কাজে সিআইআই-কেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের দিকে তাকিয়ে দেশের শিল্প সংস্থাগুলিকে উৎপাদনের কথা বলেছেন মোদী। সেই সঙ্গে অন্য দেশগুলির সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখার বার্তাও দিয়েছেন। দেশে প্রথম দফায় আনলকডাউন শুরু হওয়ার পর, এই প্রথম অর্থনীতি নিয়ে এই প্রথম বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর আশ্বাস, অর্থনীতি অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে। ফের বৃদ্ধির মুখ দেখবে ভারত। কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি (‌সিআইআই)‌-এর বার্ষিক সম্মেলনে এই কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

তুললেন ‘‌আত্মনির্ভর ভারত’‌-এর প্রসঙ্গ। বললেন, করোনা পরিস্থিতিকে পিছনে ফেলে সামনে হাঁটবে দেশ। তাঁর কথায়, ‘‌ভারতের মেধায় আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে, দেশের প্রযুক্তি, কৃষি, শিল্পে পূর্ণ আস্থা আছে’‌। তবে দেশবাসীর জীবনরক্ষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।

মোদী আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্যে সবরকম চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই ৫৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদেরও পাশে আছে সরকার। এর পর নিজের স্বকীয় ভঙ্গিতে বলেন, ‘‌করোনা আমাদের পথ আটকানোর চেষ্টা করলেও আমরা থেমে যাব না, এগিয়ে যাব’‌। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার সুফল মিলেছে, বলে জানালেন তিনি। বললেন, ভারত লকডাউন পেরিয়ে আনলকের পথে হেঁটেছে, গোটা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে। পাশাপাশি আরও একবার ভারতে উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছেন। জানিয়েছেন, গোটা দুনিয়ার জন্য এবার জিনিস উৎপাদন করবে ভারত। 

এক নজরে যা বললেন মোদী—

• আসুন, আমরা একসঙ্গে আত্মনির্ভর বানিয়ে তুলি দেশকে। সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে। 

• আত্মনির্ভর ভারতের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াব।

• প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় ৭৪ কোটি মানুষ সুবিধা পেয়েছেন।

• এই সঙ্কটের সময় ভারত ১৫০ টি দেশকে চিকিত্সা সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করছে।

• শ্রমিকদের আইন বাড়ানোর জন্য শ্রম আইন সংস্কার করা হয়েছে।

• কয়লা ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পথ খোলা হচ্ছে।

• ভারতের কাছে পৃথিবীর প্রত্যাশা বৃদ্ধি পেয়েছে।

• শিল্পমহল এক পা বাড়ালে সরকার চার পা বাড়াবে।

• এখন মাহাকাশ থেকে পরমাণু সবক্ষেত্রে বিনিয়োগের দ্বার মুক্ত।

• আত্মনির্ভরতার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর।

• স্বাধীনতার পর কৃষকদের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন কৃষকরা তাঁদের অধিকার ফিরে পেয়েছেন।

•  দেশের সর্বত্র ফসল বিক্রি করতে পারেন কৃষকরা।

• ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞা পাল্টে দেওয়া হচ্ছে।

• আমাদের সরকার হঠাত্ করে সংস্কার করেনি। সুনির্দিষ্টা পরিকল্পনা করেই সংস্কার করা হচ্ছে।

• ৫০ কোটি মানুষকে ইপিএফে কনট্রিবিউশন।

• ৫৩ হাজার কোটির বেশি আর্থিক সাহায্য।

• দেশের আর্থিক বৃদ্ধি সঠিক দিশাকে সঠিক দিশায় ফেরাতে হবে।

• দেশের প্রতিভা, একাগ্রতায় আত্মবিশ্বাস আছে।

• করোনা আবহে অনলাইনে আলোচনাই ভবিষ্যত্ হয়ে উঠছে।

• করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, অর্থনীতি মজবুত করতে হবে

লকডাউন দেশে করোনা রুখতে করায্করী ভূনিকা নিয়েছে।

• ভারতের কৃষক, উদ্যোগপতিদের উপর ভরসা আছে। এই জন্যই বলছি ভারত ‘গ্রোথ ব্যাক’ করবে।

• ভারতের মেধা ও প্রযুক্তির উপর ভরসা আছে।

• উই উইল ডেফিনিটলি গ্রোথ ব্যাক।

• এক দিকে দেশবাসীর জীবন বাঁচাতে হবে, অন্য দিকে অর্থনীতিকেও সচল রাখতে হবে৷

Previous articleএক বুধে এসেছিল আমপান, কাল বুধবার নিসর্গ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা মুম্বাইতে
Next articleউচ্চমাধ্যমিকের বাকি তিনটি পরীক্ষা আগামী ২ জুলাই থেকে ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here