দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একেবারেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে বুধবার সকাল সকালে পৌঁছে গিয়েছিলেন বেলুড়মঠে। সঙ্গে ট্রাক ভর্তি করে করোনা–ত্রাণের ২,০০০ কিলো চাল। সৌরভ গাঙ্গুলির এই সেবা পেয়ে আনন্দিত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। মঠের মহারাজদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলেন সৌরভ। প্রতিশ্রুতি দেন, এর পর বাগবাজারের মঠেও পৌঁছে দেবেন চাল।
মিশনের তরফে সৌরভের হাতেও কিছু উপহার তুলে দেওয়া হয় এদিন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ জানান, মঙ্গলবার সৌরভ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে মঠের ত্রাণ তহবিলে চাল দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি সানন্দে রাজি হন। এদিন সুবীরানন্দ বলেন, ‘পরিমাণটা বড় কথা নয়। মনের ইচ্ছেটাই বড় ব্যাপার।’ সৌরভের উদ্যোগের জন্য তিনি তাঁকে আশীর্বাদও করেন।
সৌরভ বলেন, ‘একেবারেই ব্যক্তিগত উদ্যোগেই চাল দিতে গিয়েছিলাম। ১৯৯৬ সালের পর থেকেই এমন নানা উদ্যোগ বিভিন্ন সময়ে নিয়েছি। অনেকেই এই সময় বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। আমার মনে হয়েছে, এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য। তাই চালের ব্যবস্থা করেছি। অন্যান্য জায়গাতেও চাল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’
লকডাউন চলাকালীন এই প্রথম বাড়ির বাইরে বেরোলেন সৌরভ। বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য ব্যাপার দেখছি! আমি তো আগে কখনও শহর কলকাতা, রাজ্যের বা দেশের এমন ছবি দেখিনি। হয়ত কেউই দেখেননি। এই প্রথম বেরিয়ে বেলুড়মঠে গিয়েছিলাম।’ পাশাপাশিই সমাজসচেতন মানু্য হিসেবে সাবধান করে দিয়েছেন জনগণকে৷
বলেছেন, ‘এখনও অনেকে লকডাউন না মেনে বাইরে বেরোচ্ছেন। সরকারের কথা শুনছেন না। কিন্তু সাবধান হতে হবে। রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার, স্বাস্থ্য দপ্তরের কথা শোনা উচিত। নিশ্চয়ই কোনও কারণ রয়েছে বলেই বারবার হোম আইসোলেশনের কথা বলা হচ্ছে। সেটা মেনে চলা উচিত। অনেকেই বলছেন ওকিছুই হবে না। কিন্তু সকলকে সাবধান থাকতেই হবে।’
সৌরভ জানান, আপাতত ২১ দিনের লকডাউন চলাকালীন দেড় লক্ষ কিলো চাল দেওয়া হবে বিভিন্ন অনাথ আশ্রমে। যেভাবে এই সঙ্কটের সময়ে ক্রিকেটাররা এগিয়ে এসেছেন, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন সৌরভ। পাশাপাশিই বলেছেন, ‘শুধু ক্রিকেটাররা কেন? সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষই এগিয়ে এসেছেন।
ফেসবুক দেখলে দেখা যাবে কত হাজার হাজার সাধারণ মানুষ সামনে এগিয়ে এসেছেন আর্থিক সাহায্য নিয়ে। দেখে ভাল লাগছে।’ এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বেলুড় মঠে গেলেন সৌরভ। বলেছেন, ‘অনেক ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে একবার এসেছিলাম। তারপর এবার। খুবই ভাল লেগেছে আমার।’