দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ বাংলায় মোট করোনা-আক্রান্ত ৬৯ জন, এমনই জানা গেল শনিবার সন্ধেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিনে। তাতে আরও জানানো হয়েছে, তিন জন করোনা-আক্রান্ত রোগী বাংলায় মারা গেছেন এবং বাড়ি ফিরেছেন তিন জন। যদিও এদিন বিকেলেই রাজ্য সরকারের তরফে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে নিশ্চিত করা হয়েছে আরও চার জন করোনা-রোগীর বাড়ি ফেরার খবর। তবে তা এখনও কেন্দ্রের বুলেটিনে প্রতিফলিত হয়নি।
এদিন বিকেলে নবান্নের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে আরও জানানো হয়, এই মুহূর্তে বাংলায় করোনাভাইরাস অ্যাকটিভ রয়েছে ৪৯ জনের দেহে। অ্যাকটিভ অর্থে, এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস জীবাণু সক্রিয় রয়েছে এই ৪৯ জনের দেহে। বাংলায় মোট আক্রান্ত কত জন, তার কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি নবান্ন। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এই বৈঠকে আরও জানান, আরও পাঁচ জন করোনা রোগী ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের একাধিক পরীক্ষার টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে তাঁদেরও।
রাজ্য সরকারের তরফে এদিন সন্ধেয় একটি করোনা-বুলেটিনও প্রকাশ করা হয়। তিন দিন বন্ধ থাকার পরে প্রকাশিত সেই বুলেটিনে দেখা যায়, খোলনলচে বদলে গেছে। মোট আক্রান্ত কত জন, তার কোনও হিসেব নেই বুলেটিনে। নেই মৃতের সংখ্যাও। কেবল করোনা অ্যাকটিভ কত জন, কোয়ারেন্টাইনে কত জন, কত জন কোয়ারেন্টাইন পার করেছে, সেই সংখ্যাটাই রয়েছে।
অন্যদিকে, দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘ-ই-জামাত যোগে হলদিয়ার এক শ্রমিকের করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে আজ। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হলদিয়া বন্দরের ওই কর্মীর নাম বিলাল খান। গত পরশু তাঁর শরীরের নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দিল্লির নিজামুদ্দিন থেকে তাঁদের ওই কর্মী ২৪ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছিলেন। হতে পারে তিনি ফেরার পর বন্দরে গিয়েছিলেন। তাই যে শ্রমিকদের সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন তারাও গতকাল থেকে আর বন্দরে আসেননি।
কদিন আগে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, দিল্লিতে তবলিঘ-ই-জামাত যোগে বাংলায় মোট ৭৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যেই একজন পজ়িটিভ ধরা পড়লেন এ দিন।
পরে রাজ্য সরকারের তরফে আরও একটি বুলেটিন প্রকাশ করা হয়, যাতে কয়েক জন সম্ভাব্য রোগীর বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। দেখুন সেই বুলেটিনও।
এদিন বিকেলে নবান্নের তরফে আরও জানানো হয়, এই মুহূর্তে রাজ্যে ৫টি সরকারি ও দু’টি বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা চলছে। রাজ্যে ৫১৬টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে। শীঘ্রই আরও ৫০ হাজার মাস্ক সরবহার করা হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি বলেও জানা যায়।