এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান: প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির জন্য আসছে নিরাপত্তায় মোড়া বোয়িং-৭৭৭

0
568

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মোড়া। মিসাইল হামলা থেকে সুরক্ষা দেবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ধরনের বোয়িং বিমান ব্যবহার করেন সেই বোয়িং-৭৭৭ বিমানেরই আধুনিক সংস্করণ আসতে চলেছে দেশে। শুধুমাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির সফরের জন্যই এমন দুটি বোয়িং-৭৭৭ বিমান কেনার চুক্তি হয়েছিল আমেরিকার সঙ্গে। সূত্রের খবর, বোয়িংয়ের কারখানা থেকে একটি বিমান আজই উড়ে আসবে দেশে। অন্যটি আসতে পারে আগামীকাল।

জুন-জুলাই মাসে আমেরিকা থেকে এই দুই এয়ারক্রাফ্ট এসে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু কিছু যান্ত্রিক সমস্যার জন্য এই সময় পিছিয়ে যায়। সূত্রের খবর, আজ দুপুর ৩টের মধ্যে দেশের মাটিতে অবতরণ করবে আধুনিক প্রযুক্তির বোয়িং-৭৭৭ এয়ারক্রাফ্ট।

ভিভিআইপিদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই এয়ারক্রাফ্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান।’ এই দুই বোয়িংয়ের পরিচালনা করবে ভারতীয় বায়ুসেনা। এতদিন বিদেশে দূরপাল্লার সফরের জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং-৭৪৭ বিমান ব্যবহার করতেন ভিভিআইপিরা। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে এই বিমানের নাম (কল সাইন) ছিল এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান। বোয়িংয়ের অত্যাধুনিক সংস্করণের কল সাইনও হতে চলেছে এই নামেই। তবে শোনা যাচ্ছে, বায়ুসেনা এই দুই বোয়িং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিলে কল সাইন বদলে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ও হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে বোয়িং-৭৭৭ বিমানে চেপে বিদেশ সফরে যান তার নাম বা কল সাইনও এটাই।

আকাশপথে নাশকতা বা সন্ত্রাসবাদীদের হামলা থেকে ভিভিআইপিদের সুরক্ষা দিতে এমন নিরাপত্তার চাদরে মোড়া আুনিক এয়ারক্রাফ্টের ভাবনা আগেই ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। আমেরিকার বোয়িং-৭৭৭ প্রযুক্তির ধাঁচেই নতুন এয়ারক্রাফ্ট তৈরির জন্য বোয়িংকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ১৩৩০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল আমেরিকার সঙ্গে। দীর্ঘ অপেক্ষার পরেসেই অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফ্ট এসে পৌঁচেছে দেশে।

এই বোয়িং-৭৭৭ কেমন?

বোয়িং কমার্শিয়াল এয়ারপ্লেনের তৈরি এই এয়ারক্রাফ্ট প্রযুক্তিতে বোয়িংয়ের বাকি বিমানদের হারিয়ে দেবে। বোয়িং-৭৬৭ ও বোয়িং-৭৪৭ এর পরে এটিই সর্বাধুনিক সংস্করণ বোয়িং-৭৭৭। বিশাল মাপের এই বিমানে রয়েছে টুইনজেট ফেসিলিটি। ৯,৭০০ থেকে ১৫,৮৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে এই বিমান। মাঝ আকাশেই তেল ভরার প্রযুক্তি রয়েছে এই এয়ারক্রাফ্টের।

তিনশোর বেশি যাত্রী বসতে পারেন এই বিমানে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বোয়িং-৭৭৭ এয়ারক্রাফ্টে রয়েছে প্রেসিডেন্টের জন্য আলাদা ঘর, তাছাড়াও কর্মী-অফিসারদের জন্য আলাদা ঘর। সাংবাদিকদের জন্য অফিসও রয়েছে এই বিমানে। তাছাড়া ফোন, টিভি, ফ্যাক্স, আকাশপথেও সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে এই বিমানে।

বোয়িং-৭৭৭ এয়ারক্রাফ্টের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এর সুরক্ষা কবচ। এসপিএস এবং এলএআইআরসিএম প্রযুক্তি রয়েছে যা মিসাইল হামলা থেকে সুরক্ষা দিতে পারে বিমানকে। শত্রুপক্ষ মাঝারি বা দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ট্র টার্গেট করলে ওই বিশেষ প্রযুক্তিতে রেডার ড্যাম হয়ে যাবে বিমানের। যে কারণে কোনওরকম মিসাইলই আর আকাশে বিমানের খোঁজ পাবে না। কোন পথে উড়ে যাচ্ছে বিমান তার সন্ধানও করতে পারবে না ক্ষেপণাস্ত্রের সেন্সর।

এই বিমানের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকবেন বায়ুসেনার দক্ষ পাইলটরা। বিমান ওড়ানো ও তার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব থাকবে বায়ুসেনার অফিসারদের উপরেই।

Previous articleরাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, উত্তরবঙ্গে সভা করার সম্ভাবনা
Next article‌শুধু ধর্ষণই নয়, দেহও জ্বালিয়ে দেওয়া হল, এটা কেমন শাসন’‌,ভোটের সময় দলিতের বাড়ি খাওয়া, আর এখন!’ হাথরস নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মমতার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here