

পেট্রাপোল : দিল্লিতে বিস্ফোরণের জেরে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি কয়েকগুণ বা়ড়ানো হয়েছে। বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্তের পাশাপাশি দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জলপথে বিএসএফ এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর তৎপরতা বেড়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে শুরু হয়েছে পুলিশের নাকা চেকিং। প্রাইভেট কারের পাশাপাশি পণ্যবোঝাই ট্রাক ও লরিতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সীমান্ত হওয়ায় সারা বছরই পেট্রাপোল সীমান্তে নজরদারি চালায় বিএসএফ এবং কাস্টমস। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে বিস্ফোরণের খবর সামনে আসা মাত্রই নতুন করে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। লক্ষ্য, সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনও জঙ্গি অনুপ্রবেশ না ঘটে অথবা ভারত থেকে কোনও জঙ্গি বাংলাদেশে পালাতে না পারে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্থলসীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিটি ট্রাক থামিয়ে তন্নতন্ন করে তল্লাশি করেছেন বিএসএফ জওয়ানরা। ট্রাকের কেবিনে এবং গাড়ির তলায় কোনও বিস্ফোরক লুকোনো আছে কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে। পেট্রাপোল সীমান্তে ঢোকার আগে পেট্রাপোল থানার পুলিশও নাকা চেকিং শুরু করেছে। ট্রাকের সমস্ত কাগজপত্র ভালো করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ট্রাক চালক, খালাসিদের কাছে বৈধ কাগজপত্র আছে কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে। দেখুন ভিডিও

বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের পরিচয়পত্র ভালো করে যাচাই করা হচ্ছে। বনগাঁ–বাগদা, যশোহর রোড, বনগাঁ-চাকদা রোডের বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ছয়ঘরিয়ার পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকায় বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে তল্লাশি চালায় পেট্রাপোল থানার পুলিশ সহ বিএসএফ জওয়ানরাও । বিভিন্ন গাড়ির প্রতিটি যাত্রীর ব্যাগ খুলে পরীক্ষা করা হয়। স্টেশন ইমিগ্রেশন চত্বরে রাখা গাড়িতেও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

পেট্রাপোল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি উৎপল সাহার কথায়, ‘সারা বছরই এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশি নজরদারি থাকে। এখন জরুরি পরিস্থিতিতে কঠোরভাবে নাকা চেকিং চলছে। সমস্ত বাংলাদেশি যাত্রীদের পাসপোর্ট সহ গাড়ি ও ব্যাগ তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে। সব দিক থেকেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কোনও রকম অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

সীমান্ত বাণিজ্যে যুক্ত ব্যবসায়ী তথা পেট্রাপোল আন্তর্জাতিক ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে হাসিনার দলের ডাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচি, অন্যদিকে দিল্লিতে বিস্ফোরণের জেরে পেট্রাপোল সীমান্তে কড়া নজরদারির পাশাপাশি এসআইআর ( SIR)-এর প্রভাবে ,তড়িঘড়ি বাংলাদেশে ফিরছেন যাত্রীরা সেটা চোখে পড়ছে ।




