দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এবার উহানে আটকে পড়া পাকিস্তানের পড়ুয়াদেরও উদ্ধারের কাজে এগিয়ে যেতে পারে ভারত। এমনটাই জানানো হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।
ভারতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেছেন, “পাকিস্তানের তরফে কোনও অনুরোধ করা হয়নি। তবে উহানে আটকে পড়া পাক ছাত্রদের থেকে যদি সত্যিই মুখ ফিরিয়ে নেয় ইসলামাবাদ, তাহলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে ভারত।”
নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সঙ্কটের তকমা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। চিনের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের আরও ২৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। উহান থেকে নিজের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে তৎপর অনেক দেশই। শুধুমাত্র পাকিস্তানের কোনও হেলদোল নেই।
অথচ চিনের নানা জায়গায় ছড়িয়ে আছে অন্তত ২৮ হাজার পাক পড়ুয়া। যার মধ্যে উহানেই রয়েছে ৫০০ জনের বেশি। গত এক সপ্তাহ ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পাক পড়ুয়াদের নানা ভিডিও ভাইরাল। দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পাক সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, নিজের দেশের নাগরিকদের থেকে মুখ ফেরানোই শুধু নয়, ইসলামাবাদ নাকি বলেছে, “পাক পড়ুয়ারা মরুক-বাঁচুক, আমরা দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাব না।” বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেছেন, “পাকিস্তানের লজ্জা হওয়া উচিত। ভারতের দেখে শেখা উচিত, কীভাবে নিজের দেশের নাগরিকদের উদ্ধার করতে হয়।”
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চিনের মূল ভূখণ্ডে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৬৫৪। আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। মৃতদের বেশির ভাগই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। মূল ভূখণ্ডের বাইরে স্বশাসিত হংকংয়েও গত কাল মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। ফিলিপিন্সের পরে চিনের বাইরে এই প্রথম কোনও ব্যক্তির মৃত্যু খবর জানা গেল।
হংকং প্রশাসন আজই জানিয়েছে, চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে সেখানে কেউ ঢুকলেই তাঁদের দু’সপ্তাহের জন্য আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে আরও ২৬টি দেশে এই রোগ সংক্রমণের খবর মিলেছে। ব্রিটেন জানিয়েছে, এই সপ্তাহের শেষেই উহান থেকে তাদের দেশের নাগরিকদের শেষ দলটিকে এয়ারলিফ্ট করা হবে। গত শুক্রবার চিন থেকে ব্রিটেনে ফেরত আনা হয়েছে ৮৩ জনকে।