দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ: ১৭ অক্টোবর থেকে লাগাতার বৃষ্টি উত্তরাখণ্ডে। তার জেরে ধস। এসবের জেরে গোটা রাজ্যে মারা গিয়েছেন অন্তত ৬৫ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এ বাংলার অন্তত ১১ জন ট্রেকার। সোমবার পাঁচ জন ট্রেকারের দেহ এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। বাকিদের দেহ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ট্রেকিংয়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এ রাজ্যের অনেকে। এই পরিস্থিতিতে মৃত্যুর মুখ থেকে নিরাপদে ঘরে ফিরে এলেন বাংলার পাঁচ ট্রেকারের একটি দল। স্রেফ অভিজ্ঞতার বলে। ট্রেনে বসেই শোনালেন সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। কীভাবে পরিস্থিতি আগাম বুঝে ফিরে এসেছিলেন তাঁরা, সেকথা বললেন।
পাশাপাশি বললেন, তরুণদের সঠিক পড়াশোনা না থাকাতেই ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এক অভিযাত্রী বললেন, ‘ট্রেকিং মানে শুধু হাঁটা নয়। এখন তরুণ–তরুণীরা ফেসবুকে পোস্ট দেবেন বলে এসব করেন।’ তার পরেই শোনালেন নিজের অভিজ্ঞতা। বললেন, ‘আমরা ৫ জন গেছিলাম বড়া সুভাষ অভিযানে। উত্তরাখণ্ডে পৌঁছে দেখি আবহাওয়া খারাপ।
২ দিন নীচে অপেক্ষা করি। তার পর ২ দিন হেঁটে হর কি দুন পৌঁছে যাই। সেখানে পরিষ্কার আবহাওয়া। কিন্তু রেইকি শুরু করি। লাটাডোরে দেখি বরফ রয়েছে। নরম বরফ। দেখে বুঝি, বিপদ রয়েছে সামনে। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি, আর এগিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। নীচে নামতে থাকি।’ আর এই সিদ্ধান্তই বাঁচিয়েছে পাঁচ বাঙালিকে। ওই অভিযাত্রীর আক্ষেপ, ‘নতুন ট্রেকিং সংস্থার সঙ্গে ছেলে–মেয়েরা জামা, জুতো কিনে ট্রেকিংয়ে যাচ্ছে। ফেসবুক দেখেছিল।
পাড়ার দাদা বলল। তার পর এজেন্ট খাইয়ে দিল। ব্যস চলল। জায়গা নিয়ে পড়াশোনা করলাম না, ঠিক নয়।’ আর এক অভিযাত্রী শোনালেন এই বেঁচে ফেরার গল্প। বললেন, ‘লাটাডোর থেকে বেস ক্যাম্প আরও তিন দিনের রাস্তা। বেস ক্যাম্প থেকে বড়া সুভাষ ১৭ হাজার ফিটের কাছাকাছি। আমাদের পারমিট ঠিক ছিল না। ভুয়ো ছিল। সেটা ওখানে গিয়ে ধরতে পারি। পরে পুলিশ চৌকি থেকে জানতে পারি, ভুয়ো পারমিট দেওয়া হয়েছে। কিছু সংস্থা এসবের জন্য দায়ী। কিন্তু আমরা আগেই বুঝে গিয়েছিলাম, যে পারমিট ভুয়ো। কারণ নরম বরফ ছিল। তাতে হাঁটা যায় না।’