দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কাটমানি নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন অশোকনগরের তৃণমূল নেতা! তারপর তাঁকে লাইটপোস্টে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে আটক করে।
অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্যামলী হালদার আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়ার জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর সিদ্ধার্থ সরকারের ঘনিষ্ঠ বাদল ব্যাপারীকে। অভিযোগ, সেই টাকা দেওয়ার বদলে ১০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়া হয় পরিচারিকার কাজ করা শ্যামলীর কাছ থেকে।
গোটা বিষয়টি শ্যামলী জানান স্থানীয় ক্লাবের লোকজনকে। এরপর শুক্রবার দুপুরে ক্লাবের লোকজনই পরামর্শ দেন, বাদল ব্যাপারীর বাড়িতে টাকা আনতে যেতে। পিছু পিছু যান তাঁরাও। টাকা চাইতেই স্থানীয়রা তাঁকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। বেঁধে রাখা হয় ল্যাম্প পোস্টে। থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে বাদলকে আটক করে নিয়ে যায়।
অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্যামলী। স্থানীয়দের বক্তব্য, এর আগেও অনেকে অভিযোগ করেছিলেন বাদলের বিরুদ্ধে। কিন্তু সে সবই ছিল টাকা দিয়ে দেওয়ার পরে। তাই হাতেনাতে ধরা যায়নি। এক্ষেত্রে বিষয়টি আগে জানাজানি হতেই পাকড়াও করা গিয়েছে।
প্রাক্তন কাউন্সিলর সিদ্ধার্থ সরকারের হয়ে সমস্ত কাজ বাদলই করতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সিদ্ধার্থবাবু বলেন, “কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।”
স্থানীয় সিপিএম নেতা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, “এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের চরিত্র। কাটমানি খেতে খেতে এদের পেট এত বড় হয়ে গেছে যে একজন হতদরিদ্র গৃহ পরিচারিকার থেকেও আবাস যোজনার টাকা লুঠছে। এই সরকার যত তাড়াতাড়ি বাংলা থেকে যাবে ততই মঙ্গল।” অশোকনগরের এক বিজেপি নেতা বলেন, “এর আগে ওই তৃণমূল নেতা যার যার থেকে কাটমানি নিয়েছে আমরা তার তালিকা তৈরি করছি। সব টাকা ওর থেকে উসুল করা হবে।”