দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই সুপার সাইক্লোনের চেহারা নিয়েছে। তবে সোমবার সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা রিভিউ মিটিংয়ের পর কেন্দ্র জানিয়েছে, আছড়ে পড়ার আগে তা সামান্য দুর্বল হতেও পারে। তবে তা হলেও ২০ মে বুধবার দুপুরে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আছড়ে পড়বে উপকূলবর্তী পশ্চিমবঙ্গে। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ১৯৫ কিলোমিটার।
এ ব্যাপারে এ দিন বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবনে রিভিউ মিটিং ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, আবহাওয়া দফতরের কর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সামনে ‘আমফান’ নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন দেন।
আবহাওয়া দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ল্যান্ডফলের আগে সুপার সাইক্লোন আমফান একটু দুর্বল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তা সামান্যই। ঝড়ের তীব্রতা তার পরেও ভয়ঙ্কর হবে। সেই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলোয়।
আবহাওয়া দফতরের কর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের তীব্র প্রভাব পড়তে পারে উত্তর ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক এবং বালাসোরে। পশ্চিমবঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায় তার প্রভাব পড়তে পারে।
প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা এও জানিয়েছেন, ল্যান্ডফলের সময় দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগনায় উপকূলে জলোচ্ছাস ৪ থেকে ৫ মিটার বাড়তে পারে। পূর্ব মেদিনীপুরে জলোচ্ছ্বাস বাড়তে পারে ৩ থেকে ৪ মিটার।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক মুখপাত্র সন্ধ্যায় বলেন, যে সব এলাকায় ঝড়ের দাপট বেশি হতে পারে সেখান থেকে মানুষকে যথাসম্ভব সরানোর ব্যবস্থা করা হোক। তা ছাড়া অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহও যেন অটুট থাকে। শুধু তা নয়, ঝড় জলের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হওয়া ও টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড় চলে যেতেই তা দ্রুত ঠিক করার জন্য আগাম বন্দোবস্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
Reviewed the preparedness regarding the situation due to cyclone ‘Amphan.’ The response measures as well as evacuation plans were discussed. I pray for everyone's safety and assure all possible support from the Central Government. https://t.co/VJGCRE7jBO
— Narendra Modi (@narendramodi) May 18, 2020
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ত্রাণ ও উদ্ধার কাজের জন্য উপকূল বাহিনী এবং নৌবাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এই দুই রাজ্যে সেনা ও বায়ুসেনাকে তৈরি থাকতে বলেছে কেন্দ্র। যাতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকাজ করা যায়।