

দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: পূর্বাভাস ও আশঙ্কা সত্যি করে দুপুর আড়াইটে নাগাদ আছড়ে পড়তে শুরু করেছে সুপার সাইক্লোন আমপান। চার ঘণ্টা ধরে চলবে এই ল্যান্ডফল। প্রতি ঘণ্টায় ২৮ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে। সাগরদ্বীপ থেকে আর মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে আছে আমপানন।
আমপান আছড়ে পড়ার আগেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ঝড়ের দাপটে ক্ষয়ক্ষতির খবর আসতে শুরু করেছে। কোথাও গাছ ভেঙে পড়েছে। কোথাও আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচাবাড়ি। দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে উপকূল এলাকা থেকে আগেই নিরাপদ দূরত্বে সরে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির কোনও খবর নেই।

আগাম সতর্কতা হিসেবে তৎপর হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরও। ইতিমধ্যেই সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ১০টি ছোট বিমান। প্রবল হাওয়ায় ছোট বিমানগুলি টার্মিনাল বা পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বড় বিমানে ধাক্কা মারতে পারে। তাই বড় ক্ষতি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে সময়ে আন্দাজ করা গিয়েছিল, সেই সময়েই শুরু হয়েছে ল্যান্ডফল। সবে উমফানের সামনের দিকের অংশ ঢুকতে আরম্ভ করেছে। এরপর ঘূর্ণিঝড়ের চোখ ও সবশেষে লেজ ঢুকবে। এই পুরো পরিধি অনেক বড়। তাই অন্তত চার ঘণ্টা ধরে চলবে এই ল্যান্ডফল।

ইতিমধ্যেই উমফানের প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। দিঘা ও সাগরদ্বীপের উপকূল এলাকায় ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়ছে। সেইসঙ্গে ঝড়ের গতিবেগও বাড়ছে। সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ ১৭০ কিলোমিটারের কাছাকাছি রয়েছে। উমফানের প্রভাবে ঝড় শুরু হয়েছে কলকাতাতেও। এই মুহূর্তে আলিপুরে ঝড়ের গতিবেগ ৬৭ কিলোমিটার।
আমফানের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বুধবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর, তাজপুর, বকখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মন্দারমণি এবং দিঘা–সহ বেশ কিছু এলাকায় ঝড় বইতে শুরু করে। প্রবল ঝড়ে বকখালিতে বেশ কিছু গাছ উপড়ে গিয়েছে। রাস্তার উপর গাছ ভেঙে পড়ে দিঘা এবং কলকাতাতেও। তবে কলকাতায় রাস্তা থেকে তড়িঘড়ি ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে দিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
প্রবল ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়েছে ফ্রেজারগঞ্জেও। বেশ কিছু কাঁচাবাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে কাকদ্বীপে।
গতি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে ছুটে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমপান। বুধবার ৪ টে থেকে ৬ টার মধ্যে তা বাংলায় আছড়ে পড়বে।জানা গেছে।
বিস্তারিত আসছে…