দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আজ সকাল ১১টা থেকে ওডিশা রাজ্য সচিবালয়ের নবনির্মিত লোকসেবা ভবনে ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিল (ইজেডসি)–এর বৈঠকে আন্তঃরাজ্য নিরাপত্তা এবং সীমা সুরক্ষার বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রথম সিকিমকে এই কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েক, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং বৈঠকে থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরী থেকে ভুবনেশ্বর পৌঁছন। ২০১৮ সালে নবান্ন সভাগৃহে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছিল।
এই বৈঠকের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ ইতিমধ্যেই রাজ্য সচিবালয় ও লোকসেবা ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে। আশপাশে গাড়ি চলাচল, যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের এবারের বৈঠকে ৫০টি ইস্যুর ওপর আলোচনা হবে। মূলত আন্তঃরাজ্য নদী জল বণ্টন সংক্রান্ত বিষয়, বিদ্যুৎ মাশুলের নয়া পদ্ধতি প্রণয়ন করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
খনিজ সম্পদের ব্যবহার, কয়লা এবং আধারের তথ্য ভাণ্ডার গড়ার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসবে। বিভিন্ন রাজ্যে যে রেল প্রকল্পের কাজ চলছে সেগুলির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় উঠে আসবে বনজ সম্পদ অধিকার আইনের প্রয়োগ এবং বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত বিষয়টিও।
সবচেয়ে যে বিষয়টির ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে, তা হল আন্তঃরাজ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সীমাসুরক্ষার বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের ধারণা। ওডিশা রাজ্য সচিবালয়ের একটি সুত্র জানাচ্ছে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনাটি বেশি গুরুত্ব পেতে চলেছে। এই মুহূর্তে বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওডিশার বেশ কিছু জায়গায় মাওবাদী কার্যকলাপ এখনও চলছে।
বিশেষত ওডিশার যে অংশটি অন্ধ্রপ্রদেশ লাগোয়া এবং ঝাড়খণ্ড–ওডিশার সীমান্তবর্তী কিছু অঞ্চলে মাওবাদী প্রভাব রয়েছে। এদিক থেকে দেখতে গেলে পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদী কার্যকলাপ বেশ কয়েক বছরে একেবারেই নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাওবাদী দমনে যে সাফল্য, সেই বিষয়টিও বৈঠকে উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
আরও একটি বিষয়ে জানা গেছে, বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলি বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চলের এই পাঁচ রাজ্যের প্রতিটি রাজ্য থেকে দু’জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তাঁরা কাজকর্মগুলি সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা দেখভাল করবেন। এখন দেখার বিষয় বৈঠকে কোন বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়৷