
দেশের সময় ওয়েবডেস্কেঃ আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে। তাওকতের তাণ্ডবের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক সাইক্লোন আসছে। এবার বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিচ্ছে এক ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ২২ মে নাগাদ উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হবে। যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঝড়ের অভিমূখ হতে পারে বাংলার দিকে। সূত্রের খবর, এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘যশ’। তবে, যতক্ষণ না ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে, ততক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে সাইক্লোনের নামকরণ ঘোষণা করা হচ্ছে না হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে।

পশ্চিম উপকূলে কদিন আগেই ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় তাউটে। এ বার পূর্ব উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা শুরু হয়ে গেল। বরাবরই ঘূর্ণিঝড় এলে বঙ্গোপসাগর লাগোয়া দুই জেলা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপর আঘাত আসে বেশি। তাই নবান্নের নির্দেশে এই দুই জেলা প্রশাসনই বিপর্যয় মোকাবিলার বন্দোবস্ত করতে নেমে পড়ল।

কলকাতা আবহাওয়া দফতর থেকে নবান্নকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে ২৬ বা ২৭ মে নাগাদ। বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে তার গতিবিধির উপর প্রতি মুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে।

আবহাওয়া দফতরের সেই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর বুধবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথনের নেতৃত্বে প্রস্তুতি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে স্থির হয়েছে ২৩ মে-র মধ্যে সমস্ত মাল্টিপারপার সাইক্লোন শেল্টার রেডি করে ফেলতে হবে। জেনারেট, টয়লেট ইত্যাদির সবই তার মধ্যে ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে।
তা ছাড়া ১৯ মে অর্থাৎ বুধবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী তথা ত্রিপল, খাবার দাবার মজুত করে ফেলতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারি করলেই তার ৬ ঘণ্টার মধ্যে নিচু এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে বিডিও, এসডিও, স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে চলবেন। জন স্বাস্থ্য কারগরি দফতরের কাজ হবে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে রাখা। কারণ, ঘূর্ণিঝড় হলেই নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। সেখানকার জন নোনা হয়ে যায়। তা পানের যোগ্য থাকে না।

গত বছর লকডাউনের সময়ে বাংলায় আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। তবে এ বার তেমন ঘূর্ণিঝড় আসবে কিনা সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতর কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। তবে প্রশাসনের কর্তাদের মতে, এ সব ক্ষেত্রে কখন কী হবে তা বলা যায় না। যে কোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে। তাই আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রাখাই বাঞ্ছনীয়। সেই সঙ্গে প্রশাসনিক স্তরে সবাইকে বলা হয়েছে যে কোভিড প্রোটোকল যেন মাথায় রাখা হয়।


