বনগাঁ: শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বনগাঁ ব্লকের ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান উমা ঘোষ। বনগাঁর বিডিওর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। বিডিও অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৫ তারিখে ইস্তফাপত্র জমা দেন উমাদেবী। মঙ্গলবার তাঁর আবেদন গৃহীত হয়েছে। বর্তমানে একজন এগজিকিউটিভ অফিসার পঞ্চায়েতের দায়িত্ব সামলাবেন।
সদ্য প্রাক্তন প্রধান উমা ঘোষ বলেন, অসুস্থতার কথা তিন মাস আগেই দলকে জানিয়েছিলাম। দল ইস্তফা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ দলের কাছে। এছাড়া বিডিও অফিস এবং পঞ্চায়েতের সদস্যদেরও মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। ৫ তারিখ বিডিও অফিসে লিখিত ইস্তফা জমা দিই। ২০ তারিখ আমার ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে। এবিষয়ে বিডিও কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বলেন, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান গত ৫ তারিকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার সেই আবেদন গ্রহণ করেছি।
এদিকে, তৃণমূল প্রধানের ইস্তফা গৃহীত হতেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করা হচ্ছে যে, বনগাঁর বেশ কয়েকজন নেতা জাতিগত জাল শংসাপত্র দাখিল করে বিভিন্ন পদে রয়েছেন। এনিয়ে তারা হাইকোর্টে মামলাও করেছে। জানা গিয়েছে, হাইকোর্টে বনগাঁর পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে শংসাপত্র জাল করার অভিযোগ করেছে মতুয়া সঙ্ঘ। তাঁদের মধ্যে একজন উমা ঘোষ। তালিকায় নাম রয়েছে বনগাঁ পুরসভার দুই কাউন্সিলার ও এক বাম নেতারও।
এবিষয়ে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বলেন, বেশ কিছু মানুষ জাল তফসিলি শংসাপত্র দাখিল করে রাজনীতিতে কিংবা চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা নিচ্ছে। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও সুরাহা না হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই। সেই তালিকায় ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের প্রধানের নাম আছে। তবে তাঁর ইস্তফার কারণ আমার জানা নেই।
আর বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, অসুস্থতার কথা প্রধান দলকে জানিয়েছিলেন। আমরা উচ্চতর নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁকে ইস্তফা দেওয়ার অনুমতিও দিয়েছিলাম। এরপরই তিনি ইস্তফা দেন। এবিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, শুনেছি উনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সেই কারণে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে হাইকোর্টে একটি মামলাও হয়েছে। তাই এবিষয়ে আমি কিছু বলব না।